Web bengali.cri.cn   
চীনা সংস্কৃতি: চীনের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র 'কু ছিন'
  2014-11-18 20:52:08  cri

প্রিয় শ্রোতা, এখন শুরু হচ্ছে 'স্বর্ণার সাথে শিখুন' আসর। আজকের এ আসরে আপনাদের জানাবো চীনের ঐতিহ্য বাদ্যযন্ত্র 'কুছিন' এর গল্প। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা।

কুছিন হচ্ছে চীনের একটি সুপ্রাচীন টানা তারের বাদ্যযন্ত্র। প্রাচীণকালে কুছিনকে 'ছিন' বা 'ইয়াও ছিন' বলে ডাকা হতো । তার সুদীর্ঘদিনের ইতিহাস রয়েছে । ৩ হাজারেরো বেশি বছর আগেকার চৌ রাজবংশের সময়ে চীনা জাতির পূর্বপুরুষেরা কুছিন আবিষ্কার করেন।  

কুছিনের গঠন অত্যন্ত মনোরম। তার আওয়াজ মসৃণ ও উজ্জ্বল এবং সুর সুক্ষ্ম আর পরিবর্তনশীল। প্রাচীনকালের লোকেরা কুছিন বাজানোর সময়ে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতেন। কুছিন বাজানোর আগে লোকদের স্নান করতে হতো এবং নতুন কাপড় পরতে হতো এবং ধূপকাঠি জালাতে হতো । তারপর দুটো পা গুছিয়ে বসে কুছিনকে টেবিলে রেখে বাজাতে হতো । কুছিন বাজানোর সময়ে বাম হাত দিয়ে তার টানা হয় এবং ডান হাত দিয়ে তার চেপে সুর তৈরি করা হয়।

কুছিনের প্রকাশ-শক্তি অত্যন্ত সমৃদ্ধ । আনন্দ, রাগ, বেদনা আর প্রফুল্লতার ভাবানুভূতি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা কুছিনের মাধ্যমে জীবন্তভাবে প্রকাশ করা যায়। বিভিন্ন উপায়ে কুছিন বাজানো যায়। এককভাবে, সিয়াওয়ের সঙ্গে অথবা প্রাচীন গানগুলোর সঙ্গে কুছিন বাজানো যায়। বর্তমানে কুছিনের সংরক্ষিত সুরগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে বাজানো হয়।

শ্রোতাবন্ধুরা, এটিই হল চীনের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র কুছিনের কিছু কথা। আজকের কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এ পর্যন্তই। আপনারা ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান।

(ইয়াং ওয়েই মিং/তৌহিদ)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক