0929genwoxue
|
'পেইচিং ডাক' রান্নাটি শুরু হয় ছিং রাজবংশের সময় (১৬১৬-১৯১১)। এ রান্না ছিং রাজবংশের অনেক রাজার সবচেয়ে প্রিয় খাবার ছিল, তাই চীনের বিভিন্ন খাবারের মধ্যে বিশেষ স্থান পেয়েছে 'পেইচিং ডাক'। এখন যারা পেইচিংয়ে সফর করছেন তারা সবাই খাঁটি পেইচিং হাঁসের স্বাদ নিতে পারেন।
যে হাঁসগুলো এ রান্নার জন্য বেছে নেয়া হয়, সে হাঁসগুলোর চর্বি বেশি কিন্তু এতো বেশি নয় যে স্বাদে বেশি পিচ্ছিল লাগে। এ ডিশ রান্না করতে বাবুর্চির উচ্চ রান্না দক্ষতা থাকতে হয়। হাঁস প্রস্তুত হওয়ার পর, প্রথমে ফলবতী গাছের কাঠ দিয়ে চুলা জ্বালাতে হয়। চুলা জ্বালিয়ে দেওয়ার পর তার তাপ ভাল করে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। তারপর হাঁসকে চুলার ওপরে ঝুলিয়ে রোস্ট করা হয়। হাঁসের রং এক ধরনের সুন্দর বাদামি রং হওয়ার পর হাঁস রান্না হয়ে যায়। চুলার তাপে হাঁসের চর্বি বের হয়ে যায়, যার ফলে হাঁসের চামড়া মচমচে হয়ে ওঠে।
রান্না করা হাঁস উপস্থাপনারও কিছু বিশেষ প্রক্রিয়া আছে। শুধু কেটে খাওয়া হয় তা-ই নয়। একজন বিশেষ বাবুর্চি ছুড়ি দিয়ে হাঁসকে খুব হালকা ফালি করে কেটে দেন। বাবুর্চির যদি বেশ দক্ষতা সম্পন্ন হন, তাহলে পুরো হাঁসের মাংস ১০৮টি ফালি হতে পারে। আর এর প্রত্যেক ফালিতে চামড়া এবং মাংস দুটো অংশই থাকে।
খাবার সময় হাঁসের কয়েকটি ফালি বিশেষ মিষ্টি সসের মধ্যে ডুবিয়ে দেয়ার পর একটি স্টিম করা খুব হালকা রুটির ওপর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আরো দেওয়া হয় পেঁয়াজের টুকরা। তারপর রুটিকে গুতিয়ে দিয়ে একটি রোলের মতো করে তারপর মুখে দেয়া হয়।
আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হল, শুধু হাঁসের মাংস নয়, হাঁসের ডিম, পাখা, কলিজা ও পা দিয়ে বাবুর্চি প্রায় ৮০ ধরনের খাবার রান্না করতে পারেন। এক টেবিলে হাঁসের বিভিন্ন অংশ দিয়ে তৈরি করা খাবার পরিবেশন করা থাকে। সুপ্রিয় শ্রোতা, এবার আপনার পালা। ঐতিহ্যবাহী পেইচিং ডাকের স্বাদ কি রকম, তা আপনাকে খেয়ে বলতে হবে। আমরা আপনার জবাবের অপেক্ষায়।
শ্রোতাবন্ধুরা, এটিই হল চীনের বিখ্যাত খাবার পেইচিং ডাকের গল্প। আজকের কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এ পর্যন্তই। আপনারা ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান।
(ইয়াং ওয়েই মিং/তৌহিদ)