0616genwoxue
|
সুপ্রিয় শ্রোতা, এখন চলছে বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট- বিশ্বকাপ ফুলবল। যদিও চীনের ফুটবল টিম তেমন সুনাম অর্জন করেনি। তারপরও কিন্তু চীনে ফুটবল ফ্যানের সংখ্যা কিন্তু কম নয় এবং সাধারণ চীনা মানুষও ফুটবল খেলা খুব পছন্দ করে। তা আমাদের বড় বড় স্টেডিয়াম থেকে বোঝা যায়। চলুন, এবার আপনাকে জানিয়ে দেবো চীনের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামগুলো সম্পর্কে। আজকে 'স্বর্ণার সাথে শিখুন' আসরে চীনের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামের মধ্যে প্রথম তিনটার কথা জানাবো আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা।
প্রথমে, পেইচিংয়ে চীনের জাতীয় স্টেডিয়াম-বার্ডনেস্ট।
বার্ডনেস্ট পেইচিং অলিম্পিক পার্কের মধ্যাঞ্চলের দক্ষিণে অবস্থিত। ২০০৮ সালে পেইচিং অলিম্পিক গেমসের প্রধান স্টেডিয়াম ছিল এটি। ২১ হেক্টর আয়তনের এ স্টেডিয়ামে মোট ৯১ হাজার দর্শক বসতে পারে।
সুইজারল্যান্ডের স্থপতি জ্যাকুস হার্জোগ, পিয়েয়ার্ড মেউরোএবং চীনা স্থপতি আই ওয়েই ওয়েই ও লি শিং কাংয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় এর নকশা তৈরি করা হয়। স্টেডিয়ামটি দেখতে একটি 'নেস্ট' বা পাখির বাসার মতো। এর ডিজাইনের মধ্য দিয়ে মানব জাতির ভবিষ্যত ধারণ করার প্রত্যাশা ফুটে ওঠে।
২০০৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০৮ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ২২৬ কোটি ৭০ লাখ আরএমবি খরচ করে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়।
২. হাংচৌ অলিম্পিক স্টেডিয়াম
'পৃথিবীর ঈশ্বরের শহর' নামে বিখ্যাত চীনের হাংচৌ শহরে অবস্থিত এ স্টেডিয়াম মোট ৮০ হাজার দর্শক ধারণ করতে পারে। এ স্টেডিয়ামটি সাবওয়ে স্টেশনের পাশে হওয়ায় বাণিজ্য ও দর্শনীয় একটি এলাকাও গড়ে উঠেছে। তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী। দৃষ্টিনন্দন গাছপালা দিয়ে সাজানো হয়েছে পার্ক। পার্শ্ববর্তী আন্তর্জাতিক এক্সপো কেন্দ্রসহ একটি বহুমুখী বাণিজ্য ও দর্শনীয় এলাকা হিসেব গড়ে উঠেছে এলাকাটি।
৩. কুয়াংচৌ অলিম্পিক স্টেডিয়াম:
১৪৫ হাজার ৬ শ' বর্গমিটার আয়তনের এ স্টেডিয়ামটি ৮০ হাজার দর্শক ধারণ করতে পারে। ১৯৯৮ সালে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ শুরু হয়, শেষ হয় ২০০১ সালে। তৎকালীন সময় এ স্টেডিয়ামটি চীনের সবচেয়ে উন্নত স্টেডিয়াম ছিল।
চীনের নবম জাতীয় গেমস এবং ২০১০ সালে এশিয়ার প্রতিবন্ধী গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এ পর্যন্ত। পরবর্তী আসরগুলোতে অন্যান্য স্টেডিয়াম সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। সে পর্যন্ত আপনারা ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন।
জাই চিয়ান। (ইয়াং ওয়েই মিং/তৌহিদ)