Web bengali.cri.cn   
পাঠ-৫০ ব্যাংকে(২)
  2013-04-24 15:44:51  cri
ক: বাংলায় চীনা ভাষা শিখুন। সুপ্রিয় শ্রোতা, হাতে খাতা-কলম নিয়ে স্বর্ণা এবং শিহাবের সঙ্গে চীনা ভাষা শিখার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন? চলুন, কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের ক্লাস শুরু হচ্ছে।

খ: প্রতিদিন মাত্র পাঁচ মিনিট সময় ব্যয় করে আপনি অনেক চীনা ভাষা শিখতে পারেন।

ক: সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা এখন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের এক নতুন চীনা ভাষা শেখার অনুষ্ঠান 'কনফুসিয়াস ক্লাসরুম' শুনছেন। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা।

খ: আর আছি আমি শিহাবুর রহমান। নি হাও! প্রিয় শ্রোতা, 'কনফুসিয়াস ক্লাসরুম' অনুষ্ঠান থেকে আপনারা প্রাথমিক চীনা ভাষা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রয়োজনীয় চীনা ভাষা শিখতে পারবেন।

*****

ক: শিহাব, গত ক্লাসে ব্যাংকে হিসাব খোলা সম্পর্কিত কিছু চীনা ভাষা শিখিয়েছিলাম, মনে আছে?

খ: হ্যাঁ, মনে আছে। হিসাব খোলা, চীনা ভাষায় বলা হয় 'খাই হু'। আমি হিসাব খুলতে চাই, চীনা ভাষায় বলা হয় 'ওয়া শিয়াং খাই হু'।

ক: হ্যাঁ, ঠিকই বলছেন। বিদেশিদের ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য পাসপোর্ট লাগে। পাসপোর্টের চীনা ভাষা কী?

খ: পাসপোর্টের চীনা প্রতিশব্দ হলো 'হু জাও'। এবং আইডি কার্ডের চীনা প্রতিশব্দ 'শেন ফেন জেং'।

ক: বাহ, সব মনে আছে। আচ্ছা, আজকের ক্লাসে তাহলে ব্যাংক থেকে টাকা তোলা সম্পর্কিত কিছু চীনা ভাষা শিখাবো। কেমন?

খ: খুব ভাল হয়। তাহলে শুরু করা যাক আজকের ক্লাস।

******প্রধান প্রধান বাক্য

ক: ওয়া শিয়াং ছু ছিয়েন।

খ: ছু তুও শাও?

ক: সান ছিয়ান ইউয়ান।

ক: ছিং শু রু মি মা।

**********

ক: টাকা তোলা, চীনা ভাষায় বলা হয় 'ছু ছিয়েন'। আমি টাকা তুলতে চাই, চীনা ভাষায় বলা হয় 'ওয়া শিয়াং ছু ছিয়েন'। আমি, চীনা ভাষায় বলা হয় 'ওয়া'। চাওয়া, চীনা ভাষায় বলা হয় 'শিয়াং'। টাকা তোলা, চীনা ভাষায় বলা হয় 'ছু ছিয়েন'। আমি টাকা তুলতে চাই, চীনা ভাষায় বলতে পারেন 'ওয়া শিয়াং ছু ছিয়েন'।

খ: আচ্ছা, 'ওয়া শিয়াং ছু ছিয়েন' অর্থ হলো আমি টাকা তুলতে চাই। এখানে 'ওয়া' মানে আমি, 'শিয়াং' মানে চাওয়া, 'ছু ছিয়েন' মানে টাকা তোলা। 'ওয়া শিয়াং ছু ছিয়েন', আমি টাকা তুলতে চাই।

ক: কত টাকা তুলতে চান? চীনা ভাষায় বলা হয় 'ছু তুও শাও'। 'ছু' মানে তোলা বা নেওয়া। 'তুও শাও' মানে কত। কত তুলতে চান, চীনা ভাষায় বলা হয় 'ছু তুও শাও'।

খ: 'ছু তুও শাও' অর্থ হলো কত টাকা তুলতে চান। এখানে 'ছু' মানে তোলা বা নেওয়া, 'তুও শাও' মানে কত। কত টাকা তুলতে চান, চীনা ভাষায় বলতে পারেন, 'ছু তুও শাও'।

ক: তিন হাজার ইউয়ান, চীনা ভাষায় বলা হয় 'সান ছিয়ান ইউয়ান'। হাজার, চীনা ভাষায় বলা হয় 'ছিয়ান'। তিন হাজার, চীনা ভাষায় বলা হয় 'সান ছিয়ান'।

খ: আচ্ছা, তিন হাজার ইউয়ান, চীনা ভাষায় বলা হয় 'সান ছিয়ান ইউয়ান'। এখানে 'সান' মানে তিন, 'ছিয়ান' মানে হাজার, ইউয়ান হলো চীনের মুদ্রার নাম। ইউয়ানের একটি প্রতিশব্দ চীনা শব্দ হলো 'খুয়াই'। 'ইউয়ান' এবং 'খুয়াই' একই অর্থ।

ক: শিহাব, শত, চীনা ভাষায় কীভাবে বলা হয় মনে আছে?

খ: হ্যাঁ, শত-এর চীনা প্রতিশব্দ হলো 'পাই'। এক শ', চীনা ভাষায় বলা হয় 'ই পাই'। তিন শ', চীনা ভাষায় বলা হয় 'সান পাই'। আচ্ছা, হাজারের ওপরে আর কী কী ইউনিট আছে একটু শিখাবেন?

ক: হ্যাঁ, অবশ্যই। হাজারের ওপরের ইউনিট হলো 'ওয়ান'। দশ হাজারে 'ই ওয়ান' মানে এক 'ওয়ান'।

খ: আচ্ছা, হাজারের ওপরের ইউনিট হলো 'ওয়ান', দশ হাজার 'ই ওয়ান', অর্থাত এক 'ওয়ান'। আর দশ ওয়ান-কে কী বলা হয়?

ক: দশ 'ওয়ান' অর্থাত্ এক লাখের কোনো বিশেষ চীনা প্রতিশব্দ নেই, আমরা বলি 'শি ওয়ান'।

খ: আচ্ছা, তাহলে দশ লাখের চীনা প্রতিশব্দ কী?

ক: দশ লাখ, অর্থাত এক শ' 'ওয়ান'। এটাকে চীনা ভাষায় বলা হয় 'পাই ওয়ান'।

খ: আচ্ছা, দশ লাখ, চীনা ভাষায় বলা হয় 'পাই ওয়ান', অর্থাত এক মিলিয়ন। আর কোটি?

ক: এক কোটি, অর্থাত এক হাজার 'ওয়ান'। চীনা ভাষায় বলা হয় 'ছিয়ান ওয়ান'।

খ: আচ্ছা, এক কোটির চীনা প্রতিশব্দ হলো 'ছিয়ান ওয়ান', অর্থাত এক বিলিয়ন।

ক: আচ্ছা, মুদ্রার ইউনিট সম্পর্কে আমরা বেশ শিখলাম। কিন্তু টাকা তুলতে গেলে তো আপনার পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ডের চীনা প্রতিশব্দ হলো 'মি মা'। পাসওয়ার্ড ঢুকানো, চীনা ভাষায় বলা হয় 'শু রু মি মা'। দয়া করে, পাসওয়ার্ড ঢোকান, চীনা ভাষা বলা হয় 'ছিং শু রু মি মা'।

খ: পাসওয়ার্ড ঢোকান, চীনা ভাষা বলা হয় 'ছিং শু রু মি মা'। এখানে 'ছিং' মানে দয়া করে। 'শু রু' মানে ঢোকানো,। 'মি মা' মানে পাসওয়ার্ড। 'ছিং শু রু মি মা', অর্থ হলো দয়া করে পাসওয়ার্ড ঢোকান।

******প্রধান প্রধান বাক্য

ক: ওয়া শিয়াং ছু ছিয়েন।

খ: ছু তুও শাও?

ক: সান ছিয়ান ইউয়ান।

ক: ছিং শু রু মি মা।

**********

ক: সুপ্রিয় শ্রোতা, এখানে আপনাদের জন্য একটা ছোট প্রশ্ন রাখছি। প্রশ্নটি হলো 'আমি টাকা তুলতে চাই' চীনায় কীভাবে বলা হয়?

খ: 'আমি টাকা তুলতে চাই' চীনায় কীভাবে বলা হয়, তা জানা থাকলে ইমেল পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। আমাদের ইমেল ঠিকানা হচ্ছে: yangweiming@cri.com.cn, ben@cri.com.cn

ক: যারা সঠিক উত্তর পাঠাবেন, তারা পেতে পারেন কিছু ছোট উপহার। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

খ: আগামী শনিবার আবার কথা হবে, চীনা ভাষা নিয়ে। জাই চিয়েন! (ইয়াং ওয়েই মিং/এসআর)

চীনা সংস্কৃতি: টাকা সম্পর্কিত চীনা প্রবাদ

সুপ্রিয় শ্রোতা, টাকা মানুষের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, টাকা ছাড়া জীবন চলে না। তাই টাকা সম্পর্কিত অনেক প্রবাদও আছে। এসব প্রবাদ থেকে টাকার প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায়। আজকের 'স্বর্ণার সাথে শিখুন' আসরে চীনা ভাষায় টাকা সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ আপনাদের জানিয়ে দেবো। আমি***। তা চিয়া হাও!

১. 'তিয়াও চিন ছিয়ান ইয়ার' - মুদ্রার ছিদ্রের মধ্যে পড়ে যাওয়া

আপনারা জানেন, প্রাচীনকালে চীনে কাগজের মুদ্রা চালু হওয়ার আগে শুধু ধাতব মুদ্রা ছিল। আর এই ধাতব মুদ্রা একসাথে নেওয়ার সুবিধার জন্য মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকতো। ছিদ্রের ভিতর সুতা দিয়ে অনেকগুলো মুদ্রা একসাথে গেঁথে রাখা যেত। মুদ্রার মাঝখানের এই ছিদ্রকে চীনা ভাষায় বলা হয় 'ছিয়ান ইয়ার'। একজন মানুষ যদি শুধু টাকার কথা ভাবে, অর্থাত্ যে কোনো কাজের মধ্যে শুধু নিজের স্বার্থের কথা ভাবে – তখন তাকে আমরা বলি 'তিয়ান চিন ছিয়ান ইয়ার ল্য'।

২. 'ছিয়ান চিন ই শিয়াও' - মিলিয়ন ডলারের হাসি

ভালবাসার মানুষের হাসিমুখ দেখার জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করলে তখন তাকে বলা হয় 'ছিয়ান চিন ই শিয়াও'। এ প্রবাদের অর্থ হলো কোনো কোনো পুরুষ নিজের ভালবাসার নারীকে খুশি করার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করতে পারে। এ হাসিকে অবশ্যই 'পৃথিবীর সবচেয়ে দামি হাসি' বলে 'গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রিকর্ডসে' অন্তর্ভূক্ত করা উচিত।

সুপ্রিয় শ্রোতা, এই হলো টাকা সম্পর্কিত কিছু চীনা প্রবাদ। অবশ্যই বাংলা ভাষাতেও টাকা সম্পর্কিত অনেক প্রবাদ আছে। ওপরের দুটো প্রবাদের সমার্থক বাংলা কোনো প্রবাদ আপনাদের জানা থাকলে আমাকে জানাবেন। চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে প্রশ্নগুলো ইমেলে আমার কাছে পাঠাতে পারেন। আগামী আসরে আবার কথা হবে। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। জাই চিয়েন। (ইয়াং ওয়েই মিং/এসআর)

মন্তব্য
মন্তব্য
লিঙ্ক