Web bengali.cri.cn   
চীনা সংস্কৃতি: ১২ প্রাণীবর্ষ চক্র - শেং শিয়াও
  2013-01-16 17:22:08  cri

    সুপ্রিয় শ্রোতা, পশ্চিমা দেশগুলোর রাশির মতো চীনেও নিজস্ব রাশিচক্র আছে। এ চক্র ১২টি প্রাণী নিয়ে গঠিত। এ ১২টি প্রাণীর প্রত্যেকটি একেকটি বছরের প্রতীক এবং সেগুলো দিয়ে বছরের নামকরণ করা হয়। বারো বছর পর পর এ চক্র আবার ফিরে আসে। চীনা ভাষায় এ চক্রকে বলা হয় 'শেং শিয়াও'। আজকের 'স্বর্ণার সাথে শিখুন' আসরে আমরা চীনা সংস্কৃতিতে এ ১২ প্রাণীর চক্র নিয়ে কথা বলবো। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি ইয়াং ওয়েই মিং, স্বর্ণা। ওয়া শি স্বর্ণা, তা চিয়া হাও।

    প্রাচীনকালের চীনা মানুষেরা প্রকৃতির প্রাণীকে উপাসনা করতো। সে অর্চনার রেওয়াজ থেকে এসেছে আজকের প্রাণীচক্র। এ ১২টি প্রাণীর ১১টি প্রাকৃতিক প্রাণী। এগুলো হলো ইঁদুর, গরু, বাঘ, খরগোশ, সাপ, ঘোড়া, ভেড়া, বানর, মুরগি, কুকুর ও শূকর। এ রাশিচক্রে আরেকটি কাল্পনিক প্রাণী রয়েছে। সেটি হলো ড্রাগন। এ ১২টি প্রাণী দিয়ে গঠিত ১২ বছরের একটি চক্র।

    এ রাশিচক্র অনুযায়ী, চলতি বছর হলো ড্রাগন বছর। বারো বছর পর পর নিজের জন্মের প্রাণীবর্ষ আবার ফিরে আসে। চীনের 'ফেং শুই' তত্ত্ব অনুযায়ী, নিজের প্রাণীবছরে মানুষের শরীরে লাল রংয়ের কিছু পরা উচিত। কারণ নিজের জন্মের প্রাণীবর্ষে বিপদজনক ঘটনা ঘটতে পারে। লাল জিনিস পরলে দুর্ভাগ্য দূর হয়ে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।

    চীনারা বিশ্বাস করে, যে প্রাণীবছরের কারো জন্ম হয় তার মধ্যে সেই প্রাণীর কিছু বৈশিষ্ট থাকে। যেমন, ইঁদুর খুব চালাক, তাই ইঁদুর বর্ষে যাদের জন্ম হয়, তারা বুদ্ধিমান হয়। গরু হলো পরিশ্রমের প্রতীক আর বাঘ সাহসের প্রতীক। খরগোশ খুব পরিণামদর্শী, তাই এ বর্ষে জন্ম নেওয়া মানুষেরা কোনো কাজ করার আগে খুব ভাল করে তা বিবেচনা করে। ড্রাগন হলো ঈশ্বর-প্রেরিত প্রাণী। তাই ড্রাগনের ভাগ্য বিশেষ ভাল। সাপ খুব কোমল প্রাণী। তাই সর্পবর্ষে জন্ম হলে মানুষ খুব নমনীয় হয়। ঘোড়া খুব অক্রূর প্রাণী, তাই ঘোড়াবর্ষে যাদের জন্ম তার খুব অকপট এবং স্বাধীনতাপ্রিয় হয়। ভেড়া খুব সহজবশ্য প্রাণী। তাই মেষবর্ষে জন্ম নেওয়া মানুষ চারিত্রিক বৈশিষ্টে খুব অনুগত্য ও আজ্ঞাধীন হয়। বানর সব সময় ছোটাছুটি করে, কখনো স্থীর হয় না। তাই বানর বর্ষের মানুষ খুব কর্মতত্পর ও পরিশ্রমী হয়। মোরগ-মুরগি প্রতিদিন ভোরবেলা ওঠে বলে এ বর্ষের মানুষও খুব কর্মব্যস্ত ও পরিশ্রমী হয়। কুকুর মানুষের ভাল বন্ধু, তাই কুকুরও আনুগত্যের প্রতীক। শূকর খুব আরামপ্রিয় প্রাণী। তাই এ বর্ষে জন্ম নেওয়া মানুষ খুব আরামপ্রিয় ও আশাবাদী হয়।

    এক কথায় ১২ প্রাণীবর্ষ চক্রে জীবনে মানুষের শুভেচ্ছা ও আশা প্রকাশ করা হয়।

    সুপ্রিয় শ্রোতা, আজ আমরা চীনের ১২ প্রাণীবর্ষ চক্র নিয়ে আলাপ করলাম। চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে প্রশ্নগুলো ইমেলে আমার কাছে পাঠাতে পারেন। আমাদের ইমেল ঠিকানা হচ্ছে: ben@cri.com.cn। আগামী আসরে আবার কথা হবে। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। জাই চিয়েন। (ইয়াং ওয়েই মিং/এসআর)

মন্তব্য
মন্তব্য
লিঙ্ক