এটি শাংহাই অঞ্চলের একটি রান্নার পদ্ধতি। এভাবে রান্না করা চিংড়ি খেলে শিশু ও বয়স্ক মানুষের জন্য ভাল হয়। কারণ চিংড়ি মাছের খোসার মধ্যে অনেক ক্যালসিয়াম থাকে। তাই চিংড়ি ভাজা খেলে মানুষের হাড় শক্ত হয়। এছাড়া চিংড়িতে অনেক প্রোটিন থাকে, যা মেধা শক্তি আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
চীনা নাম: ইয়ো পাও শিয়া
বাংলা নাম: তেলে ভাজা চিংড়ি
প্রধান প্রধান উপকরণ: নদীর চিংড়ি ৩০০ গ্রাম, চীনা পিঁয়াজ ১টা
মসলা: আদা ১টা, শুকনো মরিচ ৫টা, তেল কিছুটা, লবণ ১ চামচ, চিনি ০.৫ চামচ, তিলের তেল ১ চামচ, সয়া সস ১ চামচ, ভিনিগার কিছুটা
সম্প্রদায়: শাংহাই সম্প্রদায়
রান্নার সময়: ৩০ মিনিট
কঠিনতার শ্রেণী: প্রাথমিক
রান্নার পদ্ধতি:
১. চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখুন।
২. শুকনো মরিচ ধুয়ে টুকরা করে কেটে নিন।
৩. চীনা পিঁয়াজ ধুয়ে লম্বা করে কেটে রাখুন।
৪. আদাও চীনা পিঁয়াজের মত ধুয়ে লম্বা করে কেটে নিন।
৫. কড়াইয়ে একটু বেশি পরিমাণে তেল ঢেলে গরম করে চিংড়ি মাছ তার মধ্যে ঢেলে দিন।
৬. গরম তেলে কয়েক সেকেন্ড ভেজে তারপর তেল থেকে চিংড়ি তুলে আনুন ।
৭. কিছুক্ষণ পর আবার চিংড়িগুলো গরম তেলের মধ্যে ঢেলে দিন।
৮. কয়েক সেকেন্ড পর আবার তেল থেকে চিংড়িগুলো তুলে আনুন।
৯. এভাবে তিন বার করুন।
১০. শেষে অল্প কিছু তেল রেখে তার মধ্যে শুকনো মরিচ, চীনা পিঁয়াজ ও আদা ঢেলে দিন। তারপর লবণ, চিনি, ভিনেগার আর সয়া সস দিয়ে চিংড়ি মাছের সঙ্গে কিছু ক্ষণ ভাজুন। অবশেষে তিলের তেল দিন। হয়ে গেল তেলে ভাজা চিংড়ি মাছ।
সুপ্রিয় শ্রোতা, এ চীনা রান্নাটি কেমন হলো? আপনারা আর কী রান্না শিখতে চান ইমেলে আমাকে জানাবেন। আচ্ছা, আজকের রান্না শেখা এ পর্যন্ত। আগামী শনিবার আবার কথা হবে। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। (ইয়াং ওয়েই মিং/এসআর)