Web bengali.cri.cn   
বসন্ত উত্সবের সময় বৃদ্ধবৃদ্ধাদের খাদ্যাভ্যাস
  2014-01-23 14:33:15  cri


চীনের বসন্ত উত্সব চলে আসছে। এ উত্সব যেন বাংলাদেশের ঈদের মত জাকজমকপূর্ণ। এ সময় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তবে যারা একটু বয়স্ক, তারা হঠাত করে বেশি খেলে তাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা বয়স্কদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবো।

বার্ধক্যে কায়িক শ্রম কমে যায়, কমে যায় খাবারে দৈনিক ক্যালরির চাহিদাও। কিন্তু সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজনীয়তা বজায় থাকে। আবার খাবারে রুচি কমে যাওয়া বা নানা ওষুধের প্রতিক্রিয়া অনেক সময়ই বয়স্কদের শারীরিক দুর্বলতা, অবসাদ বা ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় তাঁরা নিজেদের প্রয়োজন বা চাহিদার কথা ভালো করে বুঝিয়ে বলতেও পারেন না।

গবেষণায় জানা যায় যে, বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রয়োজনের তুলনায় ৪০ শতাংশ খাবার কম খেয়ে থাকেন। তাই বাড়ির ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিটির পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাসের দিকে সবারই বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

আপনারা জানেন যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি জটিলতাসহ নানা সমস্যা। সে অনুযায়ী গড়ে তুলতে হবে খাদ্যাভ্যাস। যেমন: খাবারের প্লেটে লবণ ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয়গুলোকে নতুন করে হলেও রপ্ত করতে হবে। দীর্ঘদিনের পুরোনো অভ্যাস যেমন জর্দা-পানকে হঠাত করে হয়তো বিদায় দিতে চাইবেন না তাঁরা, কিন্তু তাদেরকে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়ে বলতে হবে।

আবার অনেকের পক্ষে দাঁত পড়ে যাওয়া বা নড়বড়ে হওয়ার কারণে শক্ত খাবার চিবিয়ে খাওয়া সম্ভব হয় না । সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, শুধু তরল বা আধা শক্ত খাবারে যেন সুষম খাদ্যের সবটুকু উপাদানই বজায় থাকে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে হজমশক্তিও হ্রাস পায়, পরিপাকে বিঘ্ন ঘটে। তাই এ সময় সহজেপাচ্য খাবারই বেছে নেওয়া ভালো। গুরুপাক, বেশি তেল ও মসলাযুক্ত খাবার, কেনা ও ভাজাপোড়া খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। আলু, মাছ, ডিম ইত্যাদি সহজপাচ্য খাদ্য।

আবার কোষ্ঠকাঠিণ্যও একটি সাধারণ সমস্যা। এটি এড়াতে আঁশযুক্ত খাবার, পর্যাপ্ত পানি ও রোজ ইসবগুলের ভুসির শরবত দেওয়া যায়।

বয়স্ক ব্যক্তিদের একাকিত্ববোধ, হতাশা, বিষণ্নতা ইত্যাদি মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বেশি। এসব কারণে প্রায়ই দেখা দেয় খাবারে অনীহা। প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে এসব মানসিক সমস্যার সমাধান করতে হবে।

প্রতিটি মানুষের প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী দশমিক ৯ গ্রাম আমিষ দরকার হয়। মাছ-মাংস বেশি খেতে না পারলে এই আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মুরগির স্যুপ, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত। কাঁচা শাকসবজি বা ফলমূল হজম না হলে সবজির স্যুপ ও ফলের রস করে দেওয়া যায়। ক্যালসিয়ামের উত্স হিসেবে দুধ বা দই প্রতিদিনের তালিকায় রাখা উচিত।

বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী কিছু খাবার হলো নরম খিচুড়ি, দুধ বা দই দিয়ে চিড়া, স্যুপ, দুধ-রুটি বা দুধ-সাগু ইত্যাদি। নাশতা হিসেবে ফলের রস, পুডিং ইত্যাদি।

আর সবজির মধ্যে যেমন: গাজরের হালুয়া, ফলমিশ্রিত কাস্টার্ড ইত্যাদি। একই খাবারে বিরক্তি বোধ করলে খাবারে বৈচিত্র্য আনতে হবে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক