Web bengali.cri.cn   
চীনের জ্ঞানী ব্যক্তি নারিরুদ্দিন আফান্দি সম্পর্কে
  2014-01-14 19:29:26  cri
গল্প ১. একরাতে একটি গোরস্তানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন আফান্দি। হঠাত দেখেন ঘোড়া হাঁকিয়ে ছুটে আসছে কয়েকজন লোক। তাদের ভাবগতিক ভাল ঠেকল না আফান্দির। তাই গা ঢাকা দিতে গোরস্তানের নতুন খোঁড়া এক কবরের মধ্যে ঢুকে পড়লেন তিনি। কিন্তু ঘোড়ায় চড়া ডাকাতেন দল ঠিকই দেখে ফেলেছিল তাকে। তাই কবরের কাছে ঘোড়া থামিয়ে জিজ্ঞেস করল, "এই ! ওখানে কে?" আফেনদি তখন কবরের ভেতর থেকে মাথা তুলে জবাব দিলেন, 'আমি একটা লাশ। এখানে কবর দেয়া হয়েছে আমাকে।''তা এত রাতে লাশের উঠে ঘোরাঘুরির কি দরকার?' দলের একজন বলল। 'এই একটু টাটকা হাওয়া খাওয়ার জন্য...' উত্তর দিলেন আফান্দি। 'লাশের আবার টাটকা হাওয়া লাগে নাকি?' বলল লোকটি। 'না, না, লাগে না। আপনি ঠিকই বলেছেন; আসলে এটা হয়েছে আমার ভুল!' উত্তর দিলেন আফান্দি।

গল্প ২. আফান্দির এক বন্ধু ছিলেন সওদাগর। প্রতি বছর শীতের শেষে সওদা নিয়ে তিনি চলে যেতেন দূর দেশে। আবার ফিরে আসতেন শীতের আগেই। কিন্তু এবার যাচ্ছেন লম্বা সফরে, দু'তিন বছরের আগে ফিরবেন না। তাই বিশেষভাবে বিদায় নিতে এলেন বন্ধু আফান্দির কাছে। এ কথা সে কথা বলতে বলতে সওদাগর হঠাত খেয়াল করলেন আফান্দি একটা চকচকে সোনার আংটি পরে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে মতলব আঁটলেন তিনি: কী করে ওটা বাগানো যায়। বললেন, 'বন্ধু, তোমাকে ছেড়ে কয়েকটা বছর থাকতে হবে আমাকে। এতগুলো দিন, তোমাকে না দেখে থাকা, সত্যিই বড় কষ্টের হবে আমার জন্য। তাই বলছি, আমাদের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ওই আংটিটা আমাকে উপহার দাও। যখন এই আংটির দিকে তাকাবো তখনই মনে পড়বে তোমাকে।' কিন্তু আফান্দির সম্পত্তির মধ্যে ওই আংটি ছিল সবচেয়ে মূল্যবান। তাই ওটাকে হাত ছাড়া করার কোনও ইচ্ছাই ছিল না তার। বন্ধুর কথার উত্তরে এ জন্যই তিনি বললেন: 'আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ যে আমার প্রতি তোমার এত গভীর ভালবাসা রয়েছে। এতদিন তোমাকে না দেখে থাকতে হবে, এ কথা ভাবতেই আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। তাই বলছি, আমার আংটি আমার কাছে থাক। কারণ, যখনই আংটির দিকে তাকাবো তখনই মনে পড়বে তোমার কথা, মনে পড়বে কত আগ্রহ নিয়ে এই আংটিটা তুমি চেয়েছিল। এভাবে তোমাকে আমি মনে রাখতে পারবো সবসময়।"

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক