

গল্প ২. আফান্দির এক বন্ধু ছিলেন সওদাগর। প্রতি বছর শীতের শেষে সওদা নিয়ে তিনি চলে যেতেন দূর দেশে। আবার ফিরে আসতেন শীতের আগেই। কিন্তু এবার যাচ্ছেন লম্বা সফরে, দু'তিন বছরের আগে ফিরবেন না। তাই বিশেষভাবে বিদায় নিতে এলেন বন্ধু আফান্দির কাছে। এ কথা সে কথা বলতে বলতে সওদাগর হঠাত খেয়াল করলেন আফান্দি একটা চকচকে সোনার আংটি পরে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে মতলব আঁটলেন তিনি: কী করে ওটা বাগানো যায়। বললেন, 'বন্ধু, তোমাকে ছেড়ে কয়েকটা বছর থাকতে হবে আমাকে। এতগুলো দিন, তোমাকে না দেখে থাকা, সত্যিই বড় কষ্টের হবে আমার জন্য। তাই বলছি, আমাদের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ওই আংটিটা আমাকে উপহার দাও। যখন এই আংটির দিকে তাকাবো তখনই মনে পড়বে তোমাকে।' কিন্তু আফান্দির সম্পত্তির মধ্যে ওই আংটি ছিল সবচেয়ে মূল্যবান। তাই ওটাকে হাত ছাড়া করার কোনও ইচ্ছাই ছিল না তার। বন্ধুর কথার উত্তরে এ জন্যই তিনি বললেন: 'আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ যে আমার প্রতি তোমার এত গভীর ভালবাসা রয়েছে। এতদিন তোমাকে না দেখে থাকতে হবে, এ কথা ভাবতেই আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। তাই বলছি, আমার আংটি আমার কাছে থাক। কারণ, যখনই আংটির দিকে তাকাবো তখনই মনে পড়বে তোমার কথা, মনে পড়বে কত আগ্রহ নিয়ে এই আংটিটা তুমি চেয়েছিল। এভাবে তোমাকে আমি মনে রাখতে পারবো সবসময়।"




