

1217ruby
|
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল কমিউনিকেশনস ডিপার্টমেন্টের পদার্থবিজ্ঞানী হ্যারল্ড হাস দাবী করেছেন, তিনি আলো ব্যবহার করে তারবিহীন ওয়্যারলেস ট্রান্সমিশন প্রযুক্তি বা লাইফাই উদ্ভাবন করেছেন। এতে বাতি অন করার সাথে সাথেই অনলাইন কানেকশান সক্রিয় হয়ে যেতে পারে।
গত ১৭ অক্টোবর চীনের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে লাইফাইয়ের সফল উদ্ভাবনের খবর প্রকাশিত হয়। গবেষকরা এক ওয়াট বাতির সঙ্গে নেট সংযুক্ত করে স্বাভাবিক ভাবেই চারটি কম্পিউটারের অন-লাইন হতে সক্ষম হয়। লাইফাই'র গতি প্রতি সেকেন্ডে ১০ মেগাবাইট যা এ সংশ্লিষ্ট চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্কের তুলনায় দ্রুত। ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, লাইফাই'র গড় গতি প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ মেগাবাইটসে পৌছাতে সক্ষম।
কিন্তু ওয়াইফাইয়ের পরিবর্তে পুরোপুরিভাবে লাইফাই ব্যবহার করা যায় কি? কারণ আলো দেয়ালের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করা যায় না, এটি হচ্ছে বাসায় লাইফাই ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা। বাসার সব কক্ষের বাতি জ্বালানো থাকলেই তবে প্রতিটি কক্ষের লাইফাই ব্যবহার করা সম্ভব।
হাস এ সম্পর্কে বলেন, যদি আলো না থাকে তো আপনি লাইফাই' থেকে ওয়াইফাই' ব্যবহার করতে, যেভাবে নেটওয়ার্ক পাবেন আপনি সেভাবেই ব্যবহার করতে পারেন।
ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্যের সঙ্গে লাইফাই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। তবু এ প্রযুক্তিকে এখনো নেটওয়ার্কের সমান্তরাল ব্যবহারে সমর্থন করা হয়নি। কারণ লাইফাই প্রযুক্তির মাধ্যমে কেবল ডাউনলড করা যায়, আপলড করা যায় না। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডাউনলড ও আপলড উভয়ই করা যায়।
সে সব সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এ প্রযুক্তির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথাই বিবেচনা করছে বিভিন্ন বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে স্যামসাং, কাসিও, শার্প ও মাটসুশিতা ইলেক্ট্রিক প্রতিষ্ঠান অপটিক্যাল কমিউনিকেশনস উন্নয়নের জন্য যৌথ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে এ কথা বলা যায়, লাইফাই প্রযুক্তি দ্রুতই আমাদের সাধারণ জীবনে চলে আসবে, এমনটা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করা যায়।




