

1107ruby
|
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কফি প্রস্তুতকারক কোম্পানি স্টারবার্ক। কোম্পানিটির ২০ হাজার ৮শ ৯১টি কফি স্টোরের মধ্যে কেবল আমেরিকাতেই ১৩ হাজার ২শ' ৭৯টি। এতেই বোঝা যায় আমেরিকানরা কতটা কফিপ্রিয়।
এক জরিপে দেখা গেছে, ১৮ বা তার বেশি বয়সের ৫৪ ভাগ আমেরিকান প্রতিদিন কফি পান করেন। প্রতিদিন কফি পানে দেহের ত্বক ক্যান্সার প্রতিরোধ, মস্তিষ্কের সুস্থ্যতা সহ বিভিন্ন উপকার হয়ে থাকে। কফি পানে এরকম ১১টি উপকারিতা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। আমাদের সাথে আসুন, তাহলে
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট:
২০০৫ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে, কফির মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর কোন খাবারই ভুবনে তৈরি হয়নি। যদিও ফলমূল এবং শাকসবজিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে কিন্তু তার কোনোটিই কফির ধারকাছে নেই।
চাপ কমাতে:
সিউল ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে ইদুরের মস্তিষ্কের উপর চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, নিদ্রাহীনতার ফলে মস্তিষ্কের যে চাপের সৃষ্টি হয় কফি সে চাপ লাঘবে সাহায্য করে।
পার্কিনসন রোগ নির্মূলে:
বিজ্ঞানবিষয়ক দৈনিক সায়েন্স ডেইলি জানায়, পার্কিনসন রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা কফি পানে দারুণভাবে উপকৃত হতে পারেন। কফি তাদের এই রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। শুধু রোগাক্রান্তরাই নয়, নিয়মিত কফি পান করলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা যারা কফি পান করেন না তাদের তুলনায় কম।
লিভারের জন্য উপকারী:
কফি মানবদেহের লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষভাবে কেউ যদি অ্যালকোহল আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই।
২০০৬ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন কফি পান করেন তাদের লিভার সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা ২০ ভাগ কম। ২২ বছরের উর্ধ্বে ১ লক্ষ ২৫ হাজার মানুষের উপর ওই গবেষণা চালানো হয়েছিল। যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকেন তাদের লিভার সিরোসিস হওয়ার জোর সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, নন অ্যালকোহলিক ব্যক্তিদেরও রোগ নির্মূলেও কফি সাহায্য করে।
প্রফুল্ল রাখে:
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এক পরীক্ষায় প্রমাণ করেছে, যারা প্রতিদিন চার বা ততোধিক কাপ কফি পান করে তাদের বিষন্নতা হওয়ার সম্ভাবনা যারা কখনও পান করেনি তাদের চেয়ে ১০ ভাগ কম। কফিতে উচ্চমাত্রায় ক্যাফেইন নামে এক প্রকার উপাদান থাকার কারণেই এটি সম্ভব। তবে কোকাকোলোতে ক্যাফেইন থাকা সত্ত্বেও তা বিষন্নতা বাড়িয়ে দেয়।




