1028huanqiu
|
বিজনেস ইনসাইডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনময়ী বিবেচনার ক্ষেত্রে চেহারার পাশাপাশি সাফল্য, ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ক্যারিশমা, ফ্যাশন সচেতনতা বিচার করা হয়। সেরা আট আবেদনময়ী প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সিইওর তালিকায় রয়েছেন সোফিয়া আমরোসো, হেইল বারনা ও কাটিয়া বিওচ্যাম্প, অ্যালেক্সা ভন টোবেল, জেনিফার হেম্যান, টরি বার্চ, মারিসা মেয়ার, ডিজারি রজার্স, জ্যাং জিন।
সোফিয়া আমরোসো
২৯ বছর বয়সী সোফিয়ার প্রতিষ্ঠানের নাম 'ন্যাস্টি গাল'। ইবে স্টোরে পোশাক বিক্রির উদ্যোক্তা হিসেবে ২০০৬ সালে কাজ শুরু করেন সোফিয়া। এখন ন্যাস্টি গাল নামের সাইটটির সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি ক্রেতা রয়েছে। ই-কমার্স সাইট তৈরি করে সোফিয়া দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সোফিয়া দারুণ জনপ্রিয় হয়েছেন তাঁর ফ্যাশনবোধের কারণে। যদিও সোফিয়া পড়াশোনায় কলেজের গণ্ডি পার হতে পারেননি কিংবা ফ্যাশন নিয়ে কোনো ডিগ্রিও তাঁর নেই। তবুও ৩০ বছরের কম বয়সী আবেদনময়ী প্রধান নির্বাহীর তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন।
হেইল বারনা ও কাটিয়া বিওচ্যাম্প
'বার্চবক্স' নামের একটি সাইটের প্রতিষ্ঠাতা ২৯ ও ৩০ বছর বয়সী দুই প্রধান নির্বাহী হেইল বারনা ও কাটিয়া বিওচ্যাম্প। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে একসঙ্গে লেখাপড়ার সময় দুই বান্ধবী মিলে গড়ে তুলেছেন বার্চবক্স। আবেদনময়ী সিইও হিসেবে দুজনই বিজনেস ইনসাইডারের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
অ্যালেক্সা ভন টোবেল
২৯ বছর বয়সী ভন টোবেল প্রতিষ্ঠা করেছেন 'লার্নভেস্ট' নামের একটি বিনিয়োগ পরামর্শ-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহজ উপায়ের নীতিমালা ও পরামর্শক হিসেবের পাশাপাশি আবেদনময়ী প্রধান নির্বাহীর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল শেষ না-করা এ নারী।
জেনিফার হেম্যান
আবেদনময়ী সিইওর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ৩২ বছর বয়সী জেনিফার হেম্যান। রেন্ট ডিজাইনার ড্রেস নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন সাইটের প্রধান নির্বাহীর ভূমিকায় থাকা হেম্যান ফ্যাশন ও ব্যবসায় পারদর্শী।
টরি বার্চ
টরি বার্চের বয়স এখন ৪৭। তার পরও আবেদনময়ী সিইওর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন নিজের নামে ফ্যাশন ওয়েবসাইট খোলা টরি।
টরি বার্চ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা খুলে তিনি নারীদের উদ্যোক্তা হতে ও নারী কর্মসংস্থানে কাজ করেন।
মারিসা মেয়ার
বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলে মারিসা ছিলেন প্রথম নারী প্রকৌশলী। গুগলের মানচিত্র, তথ্য খোঁজাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করেছেন। গত বছরের জুলাই মাসে তিনি যোগ দেন আরেক বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী হিসেবে।
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর তাই ইয়াহুকে লোকসানি থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া ছিল মারিসা মেয়ারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এখন ইয়াহুকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে কাজ করছেন তিনি। ধ্রুপদি ব্যালে নাচে পারদর্শিতার পাশাপাশি ফ্যাশনবোধের কারণে আবেদনময়ী সিইওর তালিকায় এসেছেন ৩৮ বছর বয়সী মারিসা।
ডিজারি রজার্স
জনসন পাবলিশিং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ৫২ বছর বয়সী ডিজারি রজার্স আবেদনময়ী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন। তিনি অলাভজনক বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।
জ্যাং জিন
সেরা আবেদনময়ী সিইওর তালিকায় স্থান পেয়েছেন চীনের রিয়েল স্টেটবিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের ৪৭ বছর বয়সী সিইও জ্যাং জিন। তিনি চীনের বিভিন্ন কারখানায় কাজ করে, অর্থ জোগাড় করে যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া করেছেন। এখন তিনি 'সোহো চায়না' নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী। কোটিপতি হয়েও জ্যাং জিন প্লেনের প্রথম শ্রেণীতে ভ্রমণ করেন না। চলচ্চিত্রে আগ্রহ রয়েছে তাঁর। 'ওয়ালস্ট্রিট: মানি নেভার স্লিপ' চলচ্চিত্রের একটি বিশেষ দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন তিনি।