Web bengali.cri.cn   
 দুজন বিদেশির সাক্ষাত্কার-ভিত্তিক প্রতিবেদন
  2013-10-02 18:55:10  cri

চালাম একজন ভারতীয় লেখক এবং চীন ও ভারতের সংস্কৃতির একজন বিশেষজ্ঞ। ২০০৩ সালে তিনি চীন সরকারের কাছ থেকে 'মৈত্রী পুরস্কার' পান। সিআরআইয়ের সাংবাদিকরা ৬৫ বছর বয়সি চালামকে 'দাদা' বলে ডাকেন।

চালাম বলেন, চীন তার দ্বিতীয় জন্মস্থান এবং তিনি সারা জীবন চীন ও ভারতের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য কাজ করতে চান। আগে তিনি সিআরআইয়ের তামিল বিভাগে ১২ বছর কাজ করেছিলেন। 'তামিল আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সেমিনারে' অংশ নিতে সম্প্রতি তিনি পেইচিং আসেন। সেমিনারে চালাম একটি বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন:

"বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমি ইতিহাস বইয়ে প্রথম বারের মতো চীনকে জানি। চীন প্রাণবন্ত হয়ে উঠা একটি দেশ। তখন থেকেই আমি চীনে আসতে চাই। পরে আমি সুযোগ পেয়ে সিআরআইয়ে কাজ করতে পেইচিংয়ে আসি।"

চালাম সিআরআই তামিল বিভাগে ১২ বছরে কাজ করেন। সেই ১২ বছরের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন:

"১৯৮৩ সাল আমি প্রথম বারের মতো চীনে আসি। তখনকার সিআরআইর সহকর্মীরা ছিলেন আমার পরিবারের মতো এবং সবাই একসাথে তামিল রেডিও উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালাই। আমাদের বিভাগ শ্রোতাদের কাছে থেকে যে চিঠি পেতে, তা ছিল সারা বেতারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। যদি ১২ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে চাই, তাহলে একটি বই রচনা করতে পারবো।"

চীনা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পছন্দ করার কারণে চালাম দশ-বারোটি চীনা বই তামিল ভাষায় অনুবাদ করেছেন এবং 'আমার চোখে চীন' এবং 'চীন আন্তার্জাতিক বেতারের তামিল ভাষা গবেষণা ও প্রচার'সহ অনেক প্রবন্ধ লিখেছেন। চালাম বলেন:

"যে বইগুলো আমি অনুবাদ করেছি, সেগুলোর মধ্যে দুটি আমার সবচেয়ে প্রিয়। একটা হচ্ছে লাও সের 'চাঁদ‌'। কারণ বইটিতে তখনকার চীনের নারীদের চিত্রায়ন করা হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে 'চীনের বিখ্যাত লেখক'। এটা চীনা লেখকদের পরিচিতিমূলক একটি বই। ভারতে চীনের লেখা পরিচয় করিয়ে দিতে পারা আমার জন্য একটি সৌভাগ্যের বিষয়।"

চালাম শিক্ষক হিসেবে চীনের যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছিলেন। বর্তমানে সিআরআই তামিল বিভাগে কাজ করেন যেসব কর্মী, তাদের মধ্যে অনেকে চালামের ছাত্রছাত্রী ছিলেন। নিজের ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীদের আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিতে চালাম গর্ব বোধ করেন। চালাম বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন সিআরআই তামিল রেডিও চীন ও ভারতের মধ্যে একটি মৈত্রী সেতু নির্মাণ করতে পারবে।

বর্তমানে চালাম চীন ও ভারতের সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণা করছেন। এবার তিনি কনফুসিয়াসের জন্মস্থান সান তুং প্রদেশের ছু ফু শহরে যান এবং গবেষণার জন্য তিনি ওখান থেকে অনেক বই ও তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, কনফুসিয়াসের বয়স যখন ৬৯ বছর, তখনও তিনি বিদ্যাচর্চা ও গবেষণা কাজ করতেন। এখন বয়সে কনফুসিয়াসের চেয়ে তিনি তরুণ। চালাম আমৃত্যু গবেষণা করতে চান। ভারত ফিরে যাওয়ার পরও তিনি চীনা সংস্কৃতি ভালবাসেন এবং সেটা নিয়ে গবেষণা করেন।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক