Web bengali.cri.cn   
পার্কিং সমস্যা দূর করবে ফোল্ডিং কার
  2013-09-13 18:22:27  cri

 

রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পর গাড়িচালকদের জন্য সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে পার্কিং জায়গা খুঁজে বের করা এবং সঠিকভাবে গাড়ি পার্ক করা। পার্কিংয়ের স্থানটি সংকীর্ণ হওয়ার কারণে অনেক সময় গাড়ি পার্ক করা দুরূহ হয়। পার্কিংয়ের এ সমস্যা সমাধানের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট (কাইস্ট) সম্প্রতি এক ধরনের 'বুদ্ধিমান' বিদ্যুত-চালিত গাড়ি আবিস্কার করেছে।

'আর্মাডিলো-টি' নামের এ গাড়িটি মাত্র দুই আসন-বিশিষ্ট। আর্মাডিলোর আদলে তৈরি গাড়িটির রঙ নীল ও সাদা। আর্মাডিলো এমন এক ধরনের প্রাণী, যেটা বিপদের সম্মুখীন হলে দেহটিকে সংকুচিত করে অস্থি-উপাদানে তৈরি তার গায়ের আবরণের মধ্য ঢেকে ফেলে। এ গাড়িটির ডিজাইন মোটামুটি আর্মাডিলোর মতো; পার্কিংয়ের সময় গাড়ির পিছনের চাকা উঠে এসে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে গাড়ির দৈর্ঘ্য ১.৬৫ মিটার পর্যন্ত কমে যায়। ফলে সংকীর্ণ পার্কিংয়ের জায়গাও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে ওঠে। এভাবে ভাঁজ হওয়ার পর গাড়িটি সাধারণ একটি পার্কিং স্থানের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ স্থান দখল করে। এছাড়া গতিহীন অবস্থায় গাড়িটি ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যায়।

'আর্মাডিলো-টি'র শক্তির উত্স বিদ্যুত, গ্যাসোলিন নয়। মাত্র ১০ মিনিট ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার পর এ গাড়িটি ১শ' কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। ঘন্টায় এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬০ কিলোমিটার।

'আর্মাডিলো-টি'র ড্যাশবোর্ড হচ্ছে একটি ট্যাবলেট পিসি। চালক স্মর্টফোনের মাধ্যমে ট্যাবলেট পিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। গাড়িটিকে বাইরে থেকে ভাঁজ করা অথবা ইচ্ছেমতো পার্কিংসহ বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া যায়। লুকায়িত ক্ষুদ্র ক্যামেরা বাম ও ডান দিকের রিয়ারভিউ মিররের কাজ করে। এ ক্যামেরা গাড়ির পিছন দিক ও দু'পাশের ভিডিও চিত্র দেখায় গাড়ির ড্যাশবোর্ডে। পার্কিংয়ের তথ্য রাখা কম্পিউটার ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত চালকের স্মার্টফোনের পর্দায় মৃদু স্পর্শের মাধ্যমে 'আর্মাডিলো-টি'কে সুন্দরভাবে পার্ক করা যায়।

এ গাড়ির গবেষণা ও উন্নয়নে নিয়োজিত কাইস্টের একজন কর্মকর্তা জানান, গাড়িটিকে সড়ক বা কোনো স্থাপনার কোনো একটি কোণে পার্ক করা যায়। ফ্ল্যাট, বাজার বা সুপারমার্কেটের কোনো কোণেও এটি পার্ক করা যায়।

তবে কয়েকটি প্রযুক্তিগত দিক যেমন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার মান যথোপযুক্ত না হওয়ায় গাড়িটির উত্পাদনের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তবে ওই কর্মকর্তা আশা করেন, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এ মান শিথিল করবে। কারণ গাড়িটির গতি দ্রুত নয়, সুতরাং দুর্ঘটনা ঘটলেও ক্ষতি হবে তুলনামূলকভাবে কম।

কোনো কোনো তথ্যমাধ্যম বলছে, যদিও অধিক সংখ্যায় গাড়িটি উত্পাদনের সম্ভাবনা নেই, তবে এটি শহরের পরিবেশ সংরক্ষণ-সহায়ক গাড়ি উন্নয়নের নতুন ধারার প্রতিনিধিত্ব করছে। এ গাড়িটির ডেমো ভিডিও ওয়েবসাইটে পোস্ট করার পর কয়েক দিনে ৭ লাখ ৮০ হাজারের বেশি ক্লিক হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক