Web bengali.cri.cn   
কোরাসে অংশগ্রহনের নানাবিধ সুফল
  2013-09-05 11:43:11  cri


কোরাস মানুষের বিনোদনের একটি সাধারণ ও প্রচলিত পদ্ধতি। প্রায় সারা বিশ্বেই এবং বলা যায় প্রায় সকল সমাজেই কোরাস গানের প্রচলন রয়েছে। অবশ্যই আপনি একজন পরিবেশনকারী অথবা শ্রোতা হিসেবে অংশগ্রহন করে মনে প্রফুল্লচিত্তের স্বাদ পেতে পারেন। তবে যদি আপনি মনের পাশাপাশি শরীর তথা হৃদয়-স্বাস্থ্যের উন্নতি চান তাহলে আপনি কোরাস দলের একজন নিয়মিত ও সক্রিয় সদস্য হিসেবে ভাবতে পারেন। সুউইডেনের একটি গবেষক দল সম্প্রতি কোরাস গায়ক ও তাদের হৃদযন্ত্রের পারস্পরিক সম্পর্ক ও প্রভাব বিষয়ে গবেষণা করেছে। এজন্য গবেষকরা নির্দিষ্ট সংখ্যক কোরাস গায়কদের তিনটি দলে ভাগ করে তিন ধরনের অর্থাত্ উচ্চ, মধ্য ও নিচু জাতীয় কোরাসসংগীতের সাথে যুক্তকরেন। এভাবে গায়কদের কণ্ঠউচ্চারিত কোরাস সংগীত তাদের মন ও শরীর বিশেষ করে হৃদস্পন্দনের ওপর কিরূপ প্রভাব বিস্তার করে, তার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে জরিপ চালিয়েছেন। তাদের প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায়, সংগীতের সুর ও ছন্দ গায়ক গায়িকার হৃদস্পন্দনের ওপর প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে এবং অংশগ্রহণকারী তিনটি কোরাসদলের ক্ষেত্রেই একই ধরনে প্রভাব তৈরী করে। যার অর্থ হচ্ছে সকল গায়ক ও গায়িকার হৃদস্পন্দন একসাথে স্বয়ংক্রিয়

'সবাই জানেন যে, শ্বাসক্রিয়ার স্বয়ংক্রিয় স্বাভাবিক ও বিশেষ দক্ষতাপূর্ণ ব্যবহার সুস্থ শারীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা গান গাওয়ার সময় অবিরামভাবে শ্বাস নিতে হয় এবং স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসের বিশেষ কৌশলপূর্ণ ব্যবহারের দক্ষতা থাকতে হয়। ফলে এ সময় শ্বাস ও হৃদস্পন্দনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এছাড়া, কোরাসের সময় একই সাথে আপনাকে প্রশ্বাস ও নিশ্বাস নিতে হয়। মানুষের শরীরের ভারসাম্য যখন স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে এবং মানুষ যখন প্রফুল্লচিত্তে বা ভাল মুডে থাকে তখন হৃদস্পন্দন শ্বাস প্রশ্বাসের অতিরিক্ত গ্রহন বর্জনের ছন্দের সাথে সাথেই উঠানামা করে। সে কারনে একই গান গাওয়ার সময় সকলের হৃদস্পন্দন প্রায়ই একই পর্যায়ে থাকে।

গবেষণা থেকে আরো জানা যায়, কোরাসে অংশগ্রহণ করলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক কমে যায়। কেননা কোরাসে দীর্ঘ, প্রলম্বিত, দ্রুত বা ধীর এরকম নানাবিধ কৌশলে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে হয়। ফলে শ্বাস প্রশ্বাসের এই বৈচিত্রময় গতির সাথে সমন্বয় করে হৃদস্পন্দনকেও একইসঙ্গে উঠানাম করতে হয়, যার প্রভাব শরীরে বিশেষত হৃদযন্ত্রে ইয়োগার মতোই কার্যকর হয়। এছাড়া গান গাওয়ার সময়ে যে প্রভূত আনন্দের ধারা বইয়ে দেয় তা আমাদের ফুসফুসের জন্যও খুব উপকারী।

রিচার্ড আরো বলেন, গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবজাতি একসাথে প্রার্থনা করতে বা খেলা দেখতে পছন্দ করে। কারণ এ ধরনের অভ্যাস ও আচরণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। তাই সবাই এ ধরনে সঙ্ঘবদ্ধ আচরণ পছন্দ করে থাকে। আর এই ধরনের সংঘবদ্ধ সমাজের একজন হয়েও মানুষ নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করে থাকে। মূলত এটাও একটি ধারণা যা কোরাসের সাথে সংগতিপূর্ণ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক