

0829ruby
|
হংকংয়ের পরিবেশ সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ২০১১ সালের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, সে বছর হংকংয়ে মোট বর্জ্যের পরিমাণ ছিলো ৪৯.১ লাখ টন। বর্জ্যের পরিমান যদি এই হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে হংকংয়ের বর্জ্য ল্যান্ডফিল করার ক্ষমতা ২০২০ সালে অনেকাংশে কমে যাবে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই হংকংয়ের জন্য নতুনকরে আবর্জনা ব্যবস্থাপনা করার একটা কার্যকর উপায় বের করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
হংকং সিটি ইউনিভাসিটির ডক্টর লিয়ান সিছি বর্তমানে জৈব-ধাতু বিগলন প্রযুক্তির মাধ্যমে আবর্জনাকে ব্যবহারযোগ্য উপাদানে পরিণত করছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
'প্রতিদিন মোট ৩ হাজার ৫ শ'টন বর্জ্য ল্যান্ডফিল চত্ত্বরে পাঠানো হয়। এ খাতে আমরা এখন জব ধাতু বিগলন প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করছি। যেমন, আমরা এখন Enzymatic Hydrolysis ও Ferment'র মাধ্যমে খাবারের আবর্জনাগুলো Succinic অ্যাসিড ও পচনশীল প্লাস্টিক বানাবো। পচনশীল প্লাস্টিক মানে হচ্ছে যে প্লাস্টিক মাটিতে মিশে যেতে পারে কেননা তা পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অনুকূল।
তবে পচনশীল প্লাস্টিকের অনেক গুণ থাকা সত্ত্বেও এটি তৈরীতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির কারণে এটিকে সহজেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উত্পাদন করা যায় না বলে মনেকরেন ডক্টর লিয়ান সিছি। তিনি বলেন,
'জৈব ধাতু বিগলন প্রযুক্তি'র মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হংকংয়ের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি প্রযুক্তি। কিন্তু এ প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এখনো আমাদের নেই। তবে ভবিষ্যতে এ এটিকে বাণিজ্যিক ভাবে উত্পাদন করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
জৈব ধাতু বিগলন প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু হওয়ায় অনেকে আবর্জনা নিয়ে ব্যবসা করতে শুরু করেছেন। লিন চিহুয়া একটি দূষণমুক্ত উপাদান প্রস্তুতকারী কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক। তিনি আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিদেরকে অনেক সুন্দর শৈল্পিক আর্ট ও সাজসজ্জা নির্মাণ দেখিয়েছেন। সে সব আর্ট আর সাজসজ্জা সব বর্জ্য থেকে তৈরি করা। তিনি বলেন,
'আমরা ২০ ধরণের বর্জ্য রিসাইকেল করছি। এর মধ্যে রয়েছে কফি, চা পাতা, ডিমের শেল ও আপেল। ভোক্তারা আমাদের তৈরি নতুন পণ্য কিনতে পছন্দ করেন। কারণ সে পণ্যগুলো দূষণমুক্ত এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অনুকূল।




