Web bengali.cri.cn   
কাছ থেকে ক্যারিবিয়ন জলদস্যুর জীবনকে জানুন
  2013-08-26 18:31:36  cri



জলদস্যুর কথা বললে আপনাদের কল্পনায় কি কি দৃশ্য ভেসে উঠবে? সোমালীয় জলদস্যু? যারা বিদেশগামী পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাই করে মুক্তিপণ আদায় করে, নাকি হলিউড চলচ্চিত্র "পাইরেটস্ অব দ্য ক্যারিবিয়ন",-এর সেই সব ভয়ংকর জলদস্যু, কোন চরিত্র নাকি বিষয়, কোনটি আপনার প্রিয়? তাহলে সত্যিকারের জলদস্যু বা জলদস্যুর ইতিহাস অথবা তাদের আসল জীবনই বা কেমন? রহস্যময় জলদস্যুদের জীবন ও কর্ম নিয়ে জানার কৌতুহল আছে নিশ্চয়ই, তাই না?

আপনারা কি হলিউড চলচ্চিত্র " পাইরেটস্ অব দ্য ক্যারিবিয়ন" দেখেছেন? এ সিরিজ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছবিটির প্রধান চরিত্র "ক্যাপ্টেন জ্যাক" বিশেষ জনপ্রিয় একজন অভিনেতায় পরিণত হয়েছে, বলা যায় সিনেমা প্রিয় সকল দর্শকের কাছেই ক্যাপ্টেন জ্যাক অতি পরিচিত একটি নাম। ছবিতে দেখা যায় যে, এই ক্যাপ্টেন অন্য জলদস্যুর চেয়ে একদম ভিন্ন, তিনি খুব একটা নিষ্ঠুর নন, এবং দেখতেও তেমন বিশ্রী নয় বরং এ চরিত্রটি বেশ লাভলি, বলা যায় চলচিত্রের মতোই সিনে-রোমান্টিক। তাইতো অসংখ্য দর্শক ক্যাপ্টেন জ্যাককে ভীষণ ভীষণ পছন্দ করে। চলচিত্রের এই চরিত্রটি কিন্তু সম্পূর্ণ কাল্পনিক নয়। বলা যায় এই চরিত্রটির একটি ঐতিহাসিক সূত্র রয়েছে। জলদস্যু ইতিহাসেও একজন ক্যাপ্টেন জ্যাক আছে, তবে তাঁর নাম চলচ্চিত্রের মতো "জ্যাক স্পেরো"নয়, ইতিহাসের সেই জলদস্যুর আসল নাম কারিসো জ্যাক। এই জ্যাকের দু'টি বিশেষ শখ ছিল। একটি হল সে স্ট্রাইপ করা কাপড় পরতে পছন্দ করতো, আর আরেকটি হল নারী জলদস্যুদের প্রতি ছিল তাঁর বিশেষ দূর্বলতা, তাই যে কোনো উপায়ে হোক তার দলে নারী জলদস্যুর সক্রিয় পদচারণা থাকতেই হবে।

এখন আমরা ক্যাপ্টেন কারিসো জ্যাকের মাতৃভূমি 'বাহামার রাজধানী নাসাও দ্বীপে যাবো এবং সেখানে রয়েছে তার দস্যুজীবনের বিশেষ মজার আর রহস্যময় কাহিনী। শুধু তাই নয় আপনারা কি জলদস্যু মিউজিয়াম বা জাদুঘরের কথা কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে চলুন আমাদের সাথে নাসাও দ্বীপে, সেখানে অসংখ্য জলদস্যুর জীবন, কর্ম ও গল্প নিয়ে রয়েছে একটি বিশেষ জাদুঘর। প্রবেশ পথে আপনাকে বুক ভরে দম নিয়ে সাহস চঞ্চার করে তবেই কিন্তু ঢুকতে হবে রহস্যঘেরা এই জাদুঘরে। কেননা জাদুঘরের আলো আধাঁরিতে পিলে চমকানো সব অস্ত্র হাতে আর কিম্ভুতকিমাকার পোশাকে ভয়ংকর ভয়ংকর সব চেহারার জলদস্যুরা আপনাকে অভর্থনা জানাতে দাঁড়িয়ে আছে। এই রকম একটি জাদুঘরে প্রবেশ করে আপনি সত্যিকার অর্থেই জলদস্যু জ্যাক ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের জীবনাচার উপলব্ধি করতে পারবেন।

ক্যারিপিয়নে একটি কথার প্রচলন আছে- যখন একজন জলদস্যু ঘুমায়, তখন স্বপ্নের ঘোরেও সে নাসাও দ্বীপে বসে কফি খাচ্ছে এমন দৃশ্য দেখতে পছন্দ করে। কেননা জলদস্যুদের কাছে সবচেয়ে সুন্দর স্বপ্ন হচ্ছে মৃত্যুর পর সে যেন স্বর্গে নয় বরং প্রিয় বাসস্থান, নাসাও দ্বীপে ফিরে যেতে পারে। কারন নাসাও হচ্ছে জলদস্যুদের মাতৃভূমি এবং সবচেয়ে প্রিয়, নিরাপদ একটি দস্যুভূমি। ইতিহাস অনুযায়ী এই দ্বীপটি বেশ কয়েক শত বছর আগে জলদস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। সেখানে জলদস্যুরা মদ খেয়ে আমোদ ফূর্তি করতো আর মদের নেশায় বুদ হয়ে পড়ে থাকতো। তাদের জীবনে করার মতো একটিই মহত্ কাজ ছিল, আর সেটা হলো বিশেষভাবে তৈরী একটি জাহাজ চালিয়ে গভীর সমূদ্রের ঢেউয়ের চুড়ায় ভেসে বেড়ানো আর সমূদ্র সম্পদ বা ভিনদেশীয় জাহাজ লুণ্ঠন করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা।

ইতিহাসের ১৬৯০ সাল থেকে ১৭২০ সালের এই ৩০ বছরকে ক্যারিবিয়ান জলদস্যুর জন্য স্বর্ণ সময় বা সোনালী ৩০ বছর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আর এই বিশেষ সময়ে নাসাও দ্বীপটিও যেন দস্যুদ্বীপ হিসেবে পরিচিত পায়, কেননা দস্যুবৃত্তিতে এই দ্বীপটি অত্যন্ত কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের মেয়ামির থেকে ৩ শ' কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। তার ওপর দ্বীপটি ঘিরে থাকা সমুদ্রের গভীরতা খুব বেশি না থাকায়, বড় বড় জাহাজ সেখানে ঢুকতে পারতো না। তাই এমন সুবিধাজনক একটি দ্বীপ রাতারাতি জলদস্যুদের জন্য বিশেষ আরাধ্য আর আদর্শ আশ্রয় স্থল হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। জলদস্যুদের লুন্ঠন করা অগাদ সম্পদের জৌলুসে দ্রুতই ব্যবসায়ী, যৌনকর্মী এবং দুষ্কৃতীকারীদের মনযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।

আপনারা জাদুঘরে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত তো। চলুন তাহলে ধীরে ধীরে প্রবেশ করি আর জেনে নেই এই দ্বীপের জলদস্যুদের তখনকার জীবনের ভয়ংকর অজানা সব রহস্যময় গল্প।

বা! কি অপূর্ব! যেন জীবন্ত দুজন নারী বসে আছে। লিপন, তুমি বলোতো মূর্তি দুটি কিসের তৈরী? হ্যাঁ, মোমের মূর্তি। এই মূর্তি দুটি হচ্ছে ক্যাপ্টেন কারিসো জ্যাকের দুই নারী সহকর্মী আননি ও ম্যারি'র। মূর্তিতে দেখতে পাচ্ছো যে তাঁরা দু'জন লুঠ করা মূল্যবান সম্পদ, অর্থকড়ি, স্বর্ণ ভাগাভাগি করা নিয়ে ঝগড়া করছে। ইতিহাস বলে, এ দুই নারী জলদস্যু অত্যন্ত বিখ্যাত এবং ভীষণ নিষ্ঠুর প্রকৃতির ছিল। সমুদ্র যুদ্ধে তারা ছিল পুরুষের মতোই সাহসী, ভয় বলে কোনো কিছুই তাদের হৃদপিন্ডে ঠাই পায়নি কখনো। বাহামার অদূরের একটি ছোট দ্বীপে প্রথম তারা ক্যাপ্টেন জ্যাকের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং তখন থেকেই তারা তাদের স্বামী ছেড়ে পুরুষের বেশ ধরে জ্যাকের জাহাজে উঠে পরে, এরপর থেকে তাদের জীবনখাতায় লেখা হতে থাকে একের পর এক নিষ্ঠুর, ভয়ংকর আর রহস্যময় দস্যু অভিযান।

খ: ১৭২০ সালের দিকে জলদস্যু জ্যাকের দূধর্র্ষ আর ভয়ংকর অভিযানের তীব্রতা এতই বেড়ে যায় যে, অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ব্রিটেনের নিযুক্ত বাহামার প্রধান কর্মকর্তা উজ জ্যাকের জাহাজে হামলা চালায়, তখন জাহাজের সকল পুরুষ জলদস্যুরা অধিকমাত্রায় মাতাল থাকার কারণে প্রাণ ভয়ে প্রায় সবাই লুকিয়ে থাকে। শুধু আননি এবং ম্যারি দু'জন নারী জলদস্যু সাহসের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যায়, অবশেষে তারা ব্যর্থ হয়। উজ গ্রেপ্তার হওয়া সব পুরুষ জলদস্যুর বিরুদ্ধে মৃত্যু দন্ড ঘোষণা করে, এ সময় আননি এবং ম্যারি নিজেদেরকে অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবী করলে তাদের বিরুদ্ধে তত্ক্ষণিক মৃত্যুদন্ড জারি করা থেকে বিরত থাকে। এরপরের ঘটনা বেশ দুঃখজনক, ম্যারি ভয়াবহ জ্বরে ভুগে কারাগারেই ধুকে ধুকে মারা যায়, আর আননি নিখোঁজ হয়ে যায়, ইতিহাসে এরপর তার আর কোনো খবর জানা যায় না।

তবে যদি নাসাও দ্বীপের সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও ভয়ংকর হিসেবে খ্যাত জলদস্যুর কথা বলতে হয়, তবে এডওয়ার্ড ডিকি যাকে অন্য নামে "কালো দাড়ি" বলে ডাকা হয় তার কথা বলতেই হবে। তার বিভত্স কদাকার চেহারা আর হিংস্র পাষাণ হৃদয় কেবল শত্রুদের ভয়ে কারণ তা নয়, বরং তার দলের জলদস্যুরাও সবসময়ে মৃত্যু আশংকায় ভীত থাকতো। তার সম্পর্কে বলা হতো যে, সে তার দাড়ি কখনই কাটে নি, তার একটি চোখ এবং একটি পা কাঠের তৈরি। সারাদিন মদের নেশায় চুর হয়ে থাকে। শ্রোতা, ডিকি এতই ভয়ংকর যে তার পছন্দের কথা শুনলে সহজেই অনুমান করতে পারবেন। ডিকি ভীষণ রকম রক্ত পছন্দ করতো। শত্রুর প্রতি তার বিন্দুমাত্র কোনো সহানুভূতি নেই, যুদ্ধে প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেনো, হত্যা করে রক্তের স্রোত দেখে উল্লাস করাই ছিল তার নেশা। একথায় বলা যায়, মানুষ গল্প-কাহিনীতে যে সব বিভত্স, নিষ্ঠুর কদাকার আর নংরা শব্দ দিয়ে জলদস্যুর বর্ণনা করে থাকে, কালো দাড়ি পুরোপুরিভাবে সে রকমই একজন ঐতিহাসিক জলদস্যু।

ঐ জাদুঘরে কালো দাড়ি ও তার শত্রুদের সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় তৈরী করা একটি মোমের মূর্তি আছে। মূর্তিতে কালো দাড়ি বিভত্স চেহারায় এক হাতে বন্দুক আরেক হাতে তলোয়ার ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার সম্পর্কে এমনও ভয়ানক বর্ণনা রয়েছে যে, প্রতি বার যুদ্ধের আগে কালো দাড়ি তার নিজের দাড়ির সঙ্গে কয়েকটি পাটের দড়ি বাঁধবে, এরপর পাটের দড়িতে আগুণ ধরিয়ে দিয়ে জাহাজের সামনে এসে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন আগুন লাগা বারুদের জীবন্ত সলতে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে। এমন দৃশ্য দেখারপর কোনো মানুষ আছে কি যে ভয় পাবে না? ১৭১৮ সালে ভার্জিনিয়ার একটি ছোট দ্বীপে ব্রিটেনের নৌবাহিনীর সাথে কালো দাড়ির বাহিনীর সাথে তুমুল রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধে কালো দাড়ি মারা যায়। মৃত্যু সময়ে সময় তার শরীরে ৫টি গুলির ক্ষত এবং ২০টিরও বেশি ছুরির ক্ষত দেখা গিয়েছিল। কালদাড়ি এতটাই ভয়ংকর ছিল যে, তার মৃত্যুর পর ব্রিটেনের নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন কালো দাড়ির মাথা কেটে হাতে নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছিল। ফেইফেই আমরা কিন্তু কোনো সিনেমার গল্প বলিনি, বলেছি ইতিহাসের সত্য ঘটনা, তাই যেন কত এ্যকশনধর্মী, এ্যাডভেঞ্চারাস আর সিনেমেটিক মনে হয় তাই না? সত্যি সিনেমাকেও হার মানিয়ে দেয় বিভত্স জলদস্যুদের এই সব কাহিনী।

এখানেই শেষ নয়, তার জীবনে আরও নাটকীয় ঘটনা আছে। ইতিহাসে এমন কথাও বলা হয়েছে যে, কালো দাড়ি'র নিষ্ঠুরতা আর রক্তাক্ত খুন খারাবি জীবনের অন্য পিঠে রোমান্টিকতারও পরশ ছিল। তার এই নিষ্ঠুর দস্যুবৃত্তির এক পর্যায়ে সরকারী বাহিনীর এক ক্যাপ্টেনকে হত্যা করেছিল, কিন্তু নাটকীয় বিষয় হচ্ছে কালদাড়ি ঐ ক্যাপ্টেনের মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়। কালোদাড়ির হিংস্র জীবনের এটি দ্বিতীয় অধ্যায়, এই অধ্যায়ে সে প্রেমে পাগল এক দস্যু যে কিনা তার চরিত্রের আমুল পরবির্তন করে ফেলে, এই প্রেমের পর যেন রাতারাতি একজন ভালো মানুষে পরিণত হয়ে যায়। কালোদাড়ির এই পরিবর্তনে এরপর অনেকেই তাকে "প্রেমপাগল ডিকি" বলে ডাকতো। এরপর ডিকি তার প্রিয়তমাকে নিয়ে নির্জন ছায়াশিতল একটি স্থানে বসবাস করতে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তার স্ত্রী অল্প কিছুদিন পরেই জটিল এক রোগের কারণে মারা যায়। নিষ্ঠুর রক্তাক্ত দস্যুজীবনে একটুকরো প্রাণের সুবাতাস বইয়ে দিতেই যেন ডিকির জীবনে প্রেম এসে আবার তা দূর পারাপারে হারিয়ে যায়। প্রিয়তমার এই অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনেনিতে পারেনি ডিকি। ডিকি তাই আবার কালোদাড়ি হয়ে ওঠে, আবারও ফিরে যায় তার সেই পুরনো হিংস্র মূর্তিতে। লিপন, এটা সত্যি অতি-নাটকীয় কাহিনী, আর এই কাহিনী থেকে একটি কথা আবারও প্রমাণিত হলো যে, দস্যু হোক বা সীমার হোক প্রেমের কাছে একবার না একবার পরাজিত হবেই, তাইতো প্রিয়তমা স্ত্রী বা প্রাণপ্রিয় সন্তানের সামনে একজন ডাকাত দস্যুর চেহারা নিয়ে দাঁড়াতে পারে না। সেখানে সে সত্যিকারে মানুষ হয়ে ওঠে। তাই না? এ যেন ঠিক ইতিহাসের পাতায় লেখা এক নাটকীয় দস্যুআখ্যান।

জাদুঘরে আরেকটি মজার স্থান আছে। পর্যটক সেখানে ছবিও তুলতে পারে। তা হল guillotine অথবা মাথা কাটার যন্ত্র। জলদস্যুরা যা নিয়ে শত্রুকে আঘাত করে, আর ব্রিটিশ নৌ বাহিনীরা এটা নিয়ে জলদস্যুদের হত্যা নির্মল করেছিল। জাদুঘর বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা এটাকে দারুন ভাবে পছন্দ করে এবং guillotine-এ জলদস্যুর ভান করে মাথা কেটে ফেলার ছবি তুলতে অনেক পছন্দ করে। ইতিহাসের যে নাসাও দ্বীপ এক সময়ে জলদস্যুদের স্বর্গউদ্যান ছিল, আজ এই দ্বীপটি দেখতে খুব শান্ত, সুন্দর আর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে সাজানো একটি পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছে। দ্বীপটির শহরের রাস্তার দু'পাশে ইউরোপ স্টাইলের দালানকোঠা এবং বিলাশী পাঁচ তারকা হোটেলও দেখতে পাবেন। নাগরিকের জীবানাচেরও দেখবেন শান্তি এবং আনন্দ অনুভূতির প্রকাশ। শ্রোতরা, যদি আপনাদের সুযোগ বা সময় হয় এ সুন্দর দ্বীপে অবশ্যই একবার ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করতে পারেন। অন্তত জলদস্যু উপাখ্যান উপভোগ করতে চাইলে নাসাও দ্বীপ হচ্ছে আপনার প্রথম পছন্দ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক