Web bengali.cri.cn   
আবাসিক কিন্ডারগার্টেন
  2013-07-31 10:03:21  cri

পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ৩ বছর বা তার চেয়ে ছোট শিশুদের কিন্ডারগার্টেনে পাঠানোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সাধারণত এসব শিশুদের মা-বাবারা খুব ব্যস্ত থাকেন এবং তাদের মা-বাবারও নাতি-নাতনির যত্ন নিতে পারেন না। এ কারণে তাদের জন্য আবাসিক কিন্ডারগার্টেন খুব প্রয়োজন।

অন্য কিন্ডারগার্টেনের চেয়ে ভিন্ন ওয়ে লি সুয়ের কিন্ডারগার্টেনে এক বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুরা ভাই-বোনের মতো একসাথে থাকে। মা-বাবার চেয়ে শিক্ষক তাদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটান। শিক্ষক তাদেরকে খাবার দেন, জামাকাপড় ধুয়ে দেন এবং তাদেরকে ন্যয়নীতি শেখান। ওয়ে লি সুয়ে তাঁর কিন্ডারগার্টেনটিকে শিশুদের বাড়িতে পরিণত করতে চান। শিশুদের জন্য তিনি সবসময়ে ভাল খাবার তৈরি করেন। বিশটি শিশুর এক দিনের দুপুরের খাবারের জন্য ব্যয় করেন প্রায় ১০০ ইউয়ান এবং প্রতিদিন ওয়ে লি সুয়ে ভাল সবজি কেনার জন্য সকালে নিজেই বাজারে যান। তিনি মার মতো তাদের জন্য রান্না করেন। যদিও শিশুদের বয়স বেশি নয়, ওয়ে লি সুয়ে তাদেরকে নিজেদের ধারণায় লালন করা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। তিনি বলেন,

"শিশুদের নিজেদের ধারণা প্রকাশ করতে দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে আচরণ করতে হবে প্রথমে আমি তাদেরকে জানাই না বরং তারা নিজের ধারণা আমাকে জানায় এবং তারপর তাদেরকে শিখাই।"

আবাসিক কিন্ডারগার্টেন অস্থায়ী একটি প্রতিষ্ঠান তবে এ বিষয়ে বাজারের শূন্যতা পূরণ করেছে এবং মা-বাবার বোঝা অনেক লাঘব করছে। শিশুরা কিন্ডারগার্টেন ত্যাগ করলেও, ওয়ে লি সুয়ের সব সময় মনে পড়ে তাদের কথা। তিনি বলেন,

"আমি তাদেরকে নিজের শিশু হিসেবে লালন-পালন করি। তাদের দৃষ্টি ও অঙ্গভঙ্গি থেকেও আমি বুঝতে পারি তাদের চাহিদা। প্রতি তিনজন শিশুর যত্ন নেন অন্তত একজন শিক্ষক এবং সবসময় তাদের কথা শোনেন।"

জীবনের প্রতি যত্ন নেওয়া এবং জীবনের ধারা পরিবর্তন প্রথম চীনাদের একটি ধারণায় এবং ধাপে ধাপে একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। ওয়ে লি সুয়ের মতো নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পাশাপাশি অন্য মানুষদের সাহায্য করাও একটি চীনা বৈশিষ্ট্যে রূপ পেয়েছে।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক