

0622Muktarkhota
|
আ: আর আছি আমি আলিমুল হক।
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনারা প্রথমে শুনবেন "আমার চীনা স্বাদ ভাল লাগে" শীর্ষক একটি প্রতিবেদন। চীনের অনেক সুন্দর পাহাড় রয়েছে। এসব পাহাড়ে চীনের সংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়। চলুন যাই আমরা আজকের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে চীনের বিখ্যাত পাহাড় হুয়াংশান দেখে আসি।
তবে যাবার আগে আমি আজকের অনুষ্ঠান-সম্পর্কিত তিনটি প্রশ্ন করছি। এক: হুয়াংশান পাহাড়কে কতো সালে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়? দু'ই: হুশিচংথাংয়ের আয়তন কম? তিন: হংছুন গ্রাম কি পশুর মত?
মু: অস্ট্রেলিয়ার পর্যটক ক্রিস্টিনা বলেছেন,
(রে ১)
"হুয়াংশান পাহাড়ে অনেক সুন্দর দৃশ্য রয়েছে। চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এসব দৃশ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে।"
আ: হুয়াংশান পাহাড় চীনের দশটি সবচেয়ে বিখ্যাত আকর্ষণীয় স্থানের একটি। ১৯৯০ সালে হুয়াংশান বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পায় এবং ২০০৪ সালে বিশ্বের প্রথম দফা ভূতাত্ত্বিক পার্কের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
ভারতের মুম্বাই'র একজন পর্যটক দারুস শ্রফ বলেছেন,
(রে ২)
আ: "আমি ওয়েবসাইট থেকে হুয়াংশানের পরিচয় পেয়েছি। এখানে আমি হুয়াংশান পাহাড়ের অনেক ছবি দেখেছি এবং জেনেছি যে হুয়াংশান পাহাড় চীনের বিখ্যাত পর্যটনস্থান।"
মু: বন্ধুরা, হুয়াংমানের পাঁচটি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো হচ্ছে: পাইন গাছ ও পাথর, মেঘ সাগর, উষ্ণ প্রস্রবণ ও শীতকালের তুষার।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮শ মিটার উঁচুতে অবস্থিত হুয়াংশান পাহাড়ে প্রচুর পাইন গাছ রয়েছে। এগুলোর আকার বিভিন্ন। 'অতিথি আমন্ত্রণ' নামের একটি পাইনকে হুয়াংশান পাহাড়ের প্রতীক বলা হয়।
হুয়াংশান পাহাড়ে বিভিন্ন আকারের প্রচুর পাথর আছে। কোনো কোনো পাথর দেখতে অবিকল মানুষের মতো; কোনো কোনো পাথর বিভিন্ন পশুর আকৃতির; আবার কোনো কোনোটি পাখির মতো। এসব পাথর যেন জীবন্ত।
হুয়াংশান পাহাড়ের চারদিকে আছে মেঘ। দেখে যেন মনে হবে মেঘের সমু্দ্র। আপনারা পাহাড়ের উপর থেকে নীচের দিকে তাকালেই দেখবেন সেই মেঘের সমুদ্র। সেই সমুদ্রে পানির সমুদ্রের মতো ঢেউও ওঠে। সে এক অপূর্ব দৃশ্য!
হুয়াংশান পাহাড়ের উষ্ণ প্রস্রবণ পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। প্রস্রবণের পানির তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বলা হয় যে, এই পানিতে শরীর ভেজালে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পানিতে আছে নানাবিধ খনিজ উপাদান, যা শরীরের জন্য উপকারী।
তবে, হুয়াংশান পাহাড় শীতকালে সবচেয়ে সুন্দর। তুষার পড়ার পর গোটা পাহাড় ধবধবে সাদা হয়ে যায়। তখন একে লাগে সাদা পরীর মতো। সে এক অসাধারণ সুন্দর আর স্বর্গীয় দৃশ্য! আ: হ্যা, হুয়াংশান পাহাড়ে বিভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা হয়। তবে এখানকার দৃশ্যের এই ভিন্নতা আর বৈচিত্র্য কিন্তু একটি নিত্য ব্যাপার। পাহাড়ের উপরের একরকম দৃশ্য, আবার নীচে আরেকরকম দৃশ্য; ভোরের দৃশ্য আর সন্ধ্যার প্রকৃতির মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট; মেঘমুক্ত আকাশের নীচে হুয়াংশান দেখতে যেমন, মেঘযুক্ত আকাশের নীচে তেমন নয়। তবে, আপনারা যখনই পাহাড়ে যাবেন, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য আপনাদের স্বাগত জানাবে।
মু: মানুষের পছন্দে ভিন্নতা থাকে; সবাই সবকিছু পছন্দ করেন না, বা সবার কাছে সবকিছু সমান সুন্দর বা আকর্ষণীয় মনে হয় না। কিন্তু হুয়াংশানে যারা বেড়াতে আসেন, তারা সেখানে তাদের পছন্দের অনেককিছুই খুঁজে পান। যেমন, ফ্রান্সের পর্যটক জ মার্ক এট মার্টিন এখানে এসে তার অনুভূতি প্রকাশ করছেন এভাবে:
(রে ৩)
আ: "আমি অনেক এক্সাইটেড। ভেবেছিলাম এখানে এসে চীনের সনাতন গ্রাম আর স্থাপত্য নিদর্শনই কেবল দেখতে পাবো। কিন্তু বাস্তবে এখানে আধুনিক সংস্কৃতির নিদর্শনও দেখতে পারছি। আমি ফ্রান্সে ফিরে যাওয়ার পর আমার বন্ধুদের হুয়াংশানে ভ্রমণ করতে উত্সাহ দেবো। কোনো পর্যটকই এখানে এসে নিরাশ হবেন না, এ-কথা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। এখানকার পরিবেশ অনেক ভাল ও সুবিধাজনক এবং এখানকার মানুষ অনেক আন্তরিক।"
(সংগীত)
আ: বন্ধুরা, আপনারা এখন শুনছেন "আমার চীনা স্বাদ ভাল লাগে" শীর্ষক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতাসম্পর্কিত প্রতিবেদন। এখন আমরা আপনাদের সামনে আনহুই প্রদেশের সংস্কৃতির খানিকটা পরিচয় তুলে ধরবো।
মু: "প্রতিটি গ্রাম হল ইতিহাস বই'র এক একটি পাতা। যে-কোনো একটি পাথর কোনো-না-কোনো রাজবংশের স্বাক্ষ্য বহন করে।" জিসি জেলার একজন নাগরিক আমাদেরকে এ-কথা জানিয়েছেন। জিসি জেলার মানুষ নিজেদের জন্মস্থান নিয়ে গর্ব করেন। ইয়াং শুয়াংজি জন্ম থেকেই জিসিতে আছেন। তিনি বলেছেন,
(রে ৪)
আ: "জিসির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এর খাবার। এ ছাড়া, এখানে অনেক বিখ্যাত লোকের জন্ম। এখানে আছে অনেক বৈশিষ্ট্যময় স্থাপত্য। চীনা কালি'র উত্পত্তিও এই জিসিতেই।"
হুই হচ্ছে আনহুই প্রদেশের সংক্ষিপ্ত নাম। জিসি আনহুই প্রদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত। এখান থেকে হুয়াংশান পাহাড় গাড়ীতে প্রায় এক ঘন্টার পথ। আনহুই-এর প্রাচীন নাম ছিল হুইচৌ। জিসি ছিল হুইচৌর ৬টি জেলার একটি। হুইচৌর সংস্কৃতির কেন্দ্র হচ্ছে জিসি। জিসিকে "হুই বাবুর্চির জন্মস্থান" এবং "হুই কালির উত্পত্তিস্থল" বলে ডাকা হয়। হুইচৌ সংস্কৃতি হল চীনের তিনটি বড় আঞ্চলিক সংস্কৃতির একটি। রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষা, শিল্প, স্থাপত্য ও চিকিত্সা ক্ষেত্রে হুইচৌর রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি।
মু: লংছুয়ান হচ্ছে জিসি জেলার একটি প্রাচীন গ্রাম। স্থানীয় পর্যটন-গাইড গ্রামটির পরিচয় দিয়েছেন এভাবে:
(রে ৫)
"এ গ্রামের নাম হল লংছুয়ান। এ গ্রামের ১৬০০ বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান লংছুয়ান গ্রামে প্রায় ৪শ পরিবার এবং ১৩০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা রয়েছেন।"
আ: লংছুয়ান গ্রামে পুরাকীর্তি প্রচুর। সেসব পুরাকীর্তির মধ্যে এখনো অক্ষত আছে তিন শতাধিক। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্পদ বলে আখ্যায়িত 'হুশিচংছি' এগুলোর একটি। হুশিচংছি চীনের সং রাজবংশ আমলে অর্থাত্ প্রায় ৮শ বছর আগে নির্মিত হয়।
মু: হুশিচংছির মোট আয়তন ১৫৬৪ বর্গমিটার। হুশিচংছির কাঠামো মিং রাজবংশের বৈশিষ্ট্যময় এবং ভেতরে সাজসজ্জা ছিং রাজবংশের বৈশিষ্ট্যময়। মিং রাজবংশের পর ছিল ছিং রাজবংশ। চংছির দরজা, জানালা ও দেয়ালে রয়েছে সুক্ষ্ম কারুকাজ। এসব কারুকাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চীনের ড্রাগন ও ফিনিক্স পাখির আদল এবং পাহাড়, ফুল, পাখি ও সুন্দর সুন্দর দৃশ্য; বলা হয়েছে ইতিহাসের গল্প।
হুশিচংছি যেন মিং ও ছিং রাজবংশের সাংস্কৃতিক যাদুঘর।
আ: হুইচৌ হুই ব্যবসায়ীদের জন্মস্থান বলে পরিচিত। জিসির নাগরিক ওয়াং চিনসং বলেন,
(রে ৬)
"মিং ও ছিং রাজবংশ আমলের হুই ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগই ছিলেন জিসির মানুষ। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা করি। জিসির ব্যবসায়ীরা যেখানে মিলিত হন, সেখানে একটি বাজার বসে।"
মু: জিসিতে বিখ্যাত্ হুই কালি উত্পাদিত হয়। বলা হয় "চীনের কালিশিল্প জিসিতে রয়েছে"। বর্তমানে জিসিতে হুই কালি উত্পাদনের প্রযুক্তি ও শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্পদ হুই কালিশিল্প আরো সমৃদ্ধ হতে পারে।
আ: হুইচৌর খাবারের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হুই খাবার হল চীনের আটটি প্রধান খাবারের একটি। হুই ব্যবসায়ীরা নিজের জন্মস্থানের খাবার অনেক পছন্দ করেন। তাঁরা যেখানে যান, সেখানে হুই খাবার নিয়ে যান।
মু: জিসির সবচেয়ে বিখ্যাত্ খাবার হল 'থাকুও'। 'থাকুও' আসলে এক ধরণের রুটি। থাকুওর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রাচীন হুইচৌর মানুষ কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরে দুপুরের খাবার খাওয়ার সুযোগ পেতো না। তাঁরা 'থাকুও' নিয়ে কর্মস্থলে যেতো এবং সেখানেই দুপুরের খাবার হিসেবে 'থাকুও' খেত। আজো জিসির বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে 'থাকুও' পাওয়া যায়।
(ছোট সংগীত)
আ: প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা শুনছেন "আমার চীনা স্বাদ ভাল লাগে" শীর্ষক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতাসম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন। আজকে আমরা আপনাদেরকে নিয়ে চীনের আনহুই প্রদেশে ভ্রমণ করছি।
এখন আমরা আনহুই প্রদেশের আরো দু'টি প্রাচীন গ্রামে যাবো।
মু: আনহুই প্রদেশের ছিয়ান জেলার সিথি ও হংছুন গ্রামে প্রাচীন দৃশ্য ও সংস্কৃতি অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। সেজন্য এ-দু'টি গ্রামকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। (রে ৭)
আ: বন্ধুরা, আপনারা যে-গানটি শুনলেন, সেটি হংছুন গ্রামের একটি স্থানীয় লোকসংগীত। গায়ক হচ্ছেন ৭৫ বছর বয়সী লু রুলিন। তিনি রুটি বিক্রি করার পাশাপাশি গান করেন। লু দাদা হলেন হংছুন গ্রামের জীবন্ত ইতিহাস।
মু: হংছুন গ্রামের একজন গাইড ইউ হুয়ান বলেন,
(রে ৮)
"আসলে হংছুন গ্রামের আকৃতি গরুর মতো। এখানে পাহাড় হল গরুর মাথা, আমাদের ঘরবাড়িগুলো গরুর শরীর, সেতুগুলো হচ্ছে গরুর পা।"
পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে দেখলে গোটা হংছুন গ্রামকে সত্যি সত্যিই একটি গরুর মতো মনে হয়; সবুজ বন আর পানির মধ্যে যেন একটি গরুর ছবি।
আ: হংছুন গ্রামে প্রাচীন সড়ক, গোলাপী দেয়াল এবং সরল-সহজ মানুষ মিলে সৃষ্টি করেছে এক স্বর্গীয় পরিবেশ। আপনি এখানে এলে নিজেকে আবিস্কার করবেন কয়েক শত বছরের পুরনো এক সংস্কৃতির মধ্যে। হংছুন গ্রামের ৬৬ বছর বয়সী ওয়াং সেনছিয়াং বলেন,
(রে ৯)
"আমার বাড়ির নাম হল 'শুরেনথাং'। ছিং রাজবংশ আমলে আমার দাদার দাদা সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি এ-বাড়ি নির্মাণ করেন। আমাদের এখানে ঘরবাড়ির বৈশিষ্ট্য হল, ঘরের ছাদে একটি জানালা থাকে। তবে, আসল জানালা খুব কম।"
মু: "শুরেনথাং"-এর মতো মিং ও ছিং রাজবংশের বাড়ি এখানে আরো ১৪০টি রয়েছে। প্রাচীন সুন্দর স্থাপত্য ছাড়া এখানে সাদাসিধে মানুষও রয়েছে। হংছুন-এর পর্যটনকেন্দ্রের পরিচালক ওয়াং কুওফিং বলেন,
(রে ১০)
আ: "আমাদের গ্রাম ১৯৯১ সাল থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়। স্থানীয় মানুষ পর্যটকদেরকে আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানায়। প্রতিটি পরিবার আপনাকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে প্রস্তুত। "
মু: গ্রামটির প্রবেশপথে একটি স্মারক খিলান রয়েছে। এ স্মারক খিলান হল সিথি গ্রামের প্রতীক। আপনি সিথি গ্রামে প্রকৃতি ও মানুষের অদ্ভুত মিলমিশ দেখতে পাবেন।
আ: স্থাপত্য ছাড়াও সিথি গ্রামে হাজার হাজার বছরের পুরনো রীতিনীতি প্রচলিত রয়েছে। এটি হল গ্রামটির একটি মোহিনীশক্তি।
(রে ১১)
সিথি গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের প্রাচীন সংস্কৃতি আধুনিক যুগে আরো উন্নত হবে।
মু: আচ্ছা বন্ধুরা, আমরা এখন একটু বিশ্রাম নেবো। এখন শুনুন আনহুই প্রদেশের গান। এর আগে আমি আপনাদেরকে আজের তিনটি প্রশ্ন আরেকবার বলে দিচ্ছি। এক: হুয়াংশান পাহাড়কে কতো সালে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়? দু'ই: হুশিচংথাংয়ের আয়তন কম? তিন: হংছুন গ্রাম কি পশুর মত?
আচ্ছা, এখন শুনুন গানটি। আশা করি, সবাই গানটি পছন্দ করবেন।
গান ১
আ: বন্ধুরা, এখন খুলে বসতে যাচ্ছি আপনাদের চিঠিপত্রের ঝাপি।
বাংলাদেশের ঢাকার ডিএম ইন্টারন্যাশনাল রেডিও ক্লাবের সভাপতি ডাব্লু আনোয়ার তার চিঠিতে লিখেছেন, ...
মু: বন্ধু ডাব্লু আনোয়ার, আপনাকে নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শোনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ অনুষ্ঠান তৈরির চেষ্টা করে যাবো। আশা করি, আপনি ভবিষ্যতে আরো বেশি করে আপনার মতামত আমাদের পাঠাবেন।
আ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার আমাদের ছোট বন্ধু উদিতশংকর বসু তার চিঠিতে লিখেছে, ...
মু: ছোট্ট বন্ধু উদিতশংকর, তুমি আমাদেরকে চিঠি লিখেছো, আমরা অনেক খুশি হয়েছি। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। তোমার ছড়াও অনেক সুন্দর হয়েছে। আমরা উদিতের মতো শিশুদের বেশি করে আমাদের অনুষ্ঠান শোনার আহ্বান জানাই। আমরা ভবিষ্যতে শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান তৈরির চেষ্টা করবো।
আ: আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন গানের সময়। চলুন গান শোনা যাক।
গান
আ: প্রিয় বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলুন আরেকটি সুন্দর বাংলা গান শোনা যাক।
গান ২
আ: প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আর হ্যা, আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না।
মু: হ্যাঁ, আপনারা আমাদের ইমেলেও প্রশ্ন বা মতামত পাঠাতে পারেন। আমাদের ইমেল ঠিকানা হলো ben@cri.com.cn। আবারো বলছি ben@cri.com.cn। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (মুক্তা/আলিম)




