Web bengali.cri.cn   
বিশ্বের শীর্ষ নেতারা সম্মেলনে কিভাবে সময় কাটান
  2013-05-13 09:14:49  cri

আসলে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারাও কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষের মতই। যেমন সম্প্রতি ব্রিটেনের "দি ডেইলি মেইল" মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসে আলোচনারত বেশ কয়েকটি ছবি ছাপানো হয়েছে। আপনারা জেনে বিস্মিত হবেন যে, প্রেসিডেন্ট ওবামা ওফিসে যখন কোনো দীর্ঘ সময়ের বৈঠক করেন তখন তাঁর একটি বিশেষ অভ্যাস হচ্ছে, টেবিলের ওপর পা দুটো সোজা তুলে দিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে অর্ধ-শোয়া অবস্থায় থাকতে পছন্দ করেন। শ্রোতা আপনার কেমন অনুভূতি হবে যখন দেখনে একটি টেবিলের চারপাশে সবাই বসে আছেন, গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, কিন্তু আপনার বস ঠিক আপনারই চোখের সামনে টেবিলের ওপর পা দুটো তুলে দিয়ে অর্ধশায়িত অবস্থায় থেকে আপনাদের সাথে আলাপ আলোচনা করছেন।

আর যে টেবিলে তিনি পা দুটো তুলে দেন, এ টেবিল সাধারণ টেবিল নয়, এ টেবিলের নাম Resolute Desk। বিশ্বে শুধুমাত্র দু'টি Resolute Desk আছে। একটি ব্রিটেনের বার্কিংহাম প্রাসাদে আছে এবং তা হল ব্রিটেনের রাণীর অফিস টেবিল। আর অন্যটা ওবামার অফিসে আছে। আর এই ডেস্ক দুটার ইতিহাসও সুদীর্ঘ। ব্রিটেনের রাণী ভিক্টরিয়া "মৈত্রী"র বন্ধন স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার হিসেবে এই টেবিল দেয়া হয় বলে মনে করা হয়। এ পর্যন্ত দশ জনেরও বেশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই টেবিল ব্যবহার করেছেন। তাই এখন টেবিলটিকে বলা হয় প্রেসিডেন্ট ডেস্ক।

আমি এখন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের কথা বলবো। ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সেদিন জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। তুমি নিশ্চয়ই জানো যে এই ধরনের সম্মেলনের সময় বেশ দীর্ঘ হয়ে থাকে। কেননা এখানে বিভিন্ন দেশের নেতা বা প্রতিনিধি বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। তাহলে ভাবো যে এত লম্বা সময় কিভাবে কাটানো যায়? সাংবাদিকরা কম যায় না। ঠিকই গোপনীয়তার সাথে হিলারির একটি ছবি তুলে নিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি আপনমনে তাঁর বক্তৃতার কাগজে ছবি আকঁছেন। আর তুমি জানো তিনি কি ছবি আঁকছিলেন? তিনি কেবল গোলাকার এবং বক্র রেখায় আকিবুকি করছিলেন। জানি না, আমাদের শ্রোতাদের মধ্যে কোনো মনস্তত্ত্ববিদ আছেন কিনা, থাকলে এই অঙ্কনের সাথে হিলারির মনস্তাত্ত্বিক কিছু ব্যাখ্যা হয়তো করতে পারবেন।

তাহলে এখন আমি আরেকজন জন শীর্ষ নেতার কথা বলবো। তিনি হলেন সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সার্কোজি। তাঁর এ গল্প অনেক মিষ্টি এবং hot। শুনতে চান শ্রোতারা?

২০০৭ সালের ১২ সেপ্টম্বর তিনি সেদিনের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শেষে বাইরে যাচ্ছেন। তথ্য মাধ্যম তাঁর ছবি তুলেছে। পরে তারা এ সকল ছবি থেকে আবিস্কার করতে পেরেছে যে তিনি হাতে "প্রেমের চিঠি" নিয়ে বাইরে যাচ্ছিলেন।

সম্মেলন চলাকালে তিনি প্রেমের চিঠি লিখতেন। বোঝা যায়, এ সম্মেলন তাঁর জন্য কতটা বোরিং আর অর্থহীন।

চিঠিতে লেখা আছে: যেন যুগ থেকে যুগান্তর দেখিনি তোমায়। তোমার কথা আমার ভীষণ ভীষণ রকম মনে পড়ে। যদিও এই তো গত বৃহস্পতিবার আমরা মোনোকোয় আমাদের.... (এরপরের লেখা খুব অস্পষ্ট, তাই সাংবাদিকরাও বুঝতে পারে নি)। এরপরে তিনি লিখেছেন, আমি আশা করি এ সপ্তাহের ছুটিতে তোমার সঙ্গে দেখা হবে। প্রিয়তমা, তোমাকে এক লাখ চুমু দেই।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক