

এদিকে নেকড়ে, ভালুক ও শিয়াল তো এ-খবর শুনে মহা খুশী। খবর শোনার সাথে সাথে তারা নানা ধরণের মতলবও আঁটতে শুরু করলো। তাদের কেউ এই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয়। প্রত্যেকেই চায় নিজে নেতা হতে আর মনে মনে ভাবে: নেতা হলে প্রতিদিন পেট ভরে ভেড়ার মাংস খাওয়া যাবে, কোনো কষ্ট না-করেই। সুতরাং তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে লাগলো। ভালুক ঘুমন্ত অবস্থায় নেকড়েকে হত্যা করল। এদিকে, শিয়াল খুব চালাক। সে শিকারীর বানানো ফাঁদের ওপর বিছানো ঘাসের ওপর শুয়ে পড়ল। শিয়াল খুব হালকা। সে ফাঁদে পড়ে গেল না। সে ঘাসের ওপর ঘুমের ভান করল। রাতে ভালুক চুপি চুপি শিয়ালের খোঁজে গেল। কাছাকাছি পৌঁছে সে শিয়ালের ওপর ঝাপিয়ে পড়ল। ঠিক সে-মুহূর্তে শিয়াল এক পাশে লাফিয়ে পড়ল। ভালুক আঁটকা পড়লো ফাঁদের ভিতরে। ভালুক শিকারীর শিকার হয়ে গেল।
ভালুক ও নেকড়ের মৃত্যুর পর শিয়াল একা হয়ে গেল। তখন ভেড়াগুলো নতুন নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে শিয়ালকে হত্যা করল।
এ গল্প থেকে বোঝা যায়, ক্ষমতার লোভ আসলে এক ধরনের ফাঁদ। কেউ একবার ক্ষমতার লোভের ফাঁদে পা দিলে তার পতন অবশ্যম্ভাবী।
(চিয়াং/আলিম)




