Web bengali.cri.cn   
চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যে ৬.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
  2013-02-04 15:07:53  cri

  দশ জানুয়ারি চীনের রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসন প্রকাশিত উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১২ সালে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১১ সালের তুলনায় ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তবে গত বছরের প্রথম দিকে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ অঙ্ক ছিল ১০ শতাংশ কম। রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসনের মুখপাত্র চাং ইউয়ে শেং বলেন, যদিও আমদানি ও রপ্তানি ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, তবে বিশ্বের প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক সত্তার মধ্যে চীনের সাফল্যকে চমত্কার বলা যায়। অনুমান করা হচ্ছে, ২০১৩ সালে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যে আরো উন্নয়ন হবে।

চীনের রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ সালে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ৩৮৬৬.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এর আগের বছরের চেয়ে ৬.২ শতাংশ বেশি। ওই সময় বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ২৩১.১ বিলিয়ন ডলারে। এটা ২০১১ সালের চেয়ে ৪৮.১ শতাংশ বেশি।

চীনের রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসনের তথ্য মুখপাত্র চাং ইউয়ে শেং

চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্যকার্যালয় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসনের তথ্য মুখপাত্র চাং ইউয়ে শেং গত বছর চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি-হার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না করতে পারার কারণ বিশ্লেষণ করার সময় বলেন, "প্রথম কারণ হচ্ছে বিদেশের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় ফরমাশ কমে গেছে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে চীনে উত্পাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে চীনের পণ্য রপ্তানির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্ষমতা দুর্বল হয়েছে। তৃতীয় কারণ হচ্ছে বিশ্বে বাণিজ্য সংরক্ষণবাদ প্রচলিত হচ্ছে। চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য পরিবেশের অবনতি হয়েছে। চতুর্থ কারণ হচ্ছে চীনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দূর্বল হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানি করার চালিকাশক্তি কমে যাওয়া।"

জানা গেছে, ২০১২ সালেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছিল চীনের প্রথম বাণিজ্য অংশীদার এবং প্রধান আমদানিউত্স। তবে ওই বছর ই.ইউর স্থলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রথম রপ্তানি বাজারে পরিণত হয়। অন্যদিকে জাপানকে পিছনে ফেলে হংকং হয়ে ওঠে চীনের চতুর্থ বাণিজ্য অংশীদার।

২০১৩ সালে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রবণতা সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসনের অনুমান হলো, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির গতি-রোধকারী বাইরের উপাদান হয়তো অব্যাহত থাকবে। তবে কিছু সুখবরের কারণে ২০১৩ সালে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রবণতা আরো উন্নত হতে পারে - এমন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসন চীনের দু'হাজার রপ্তানি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা পরিস্থিতির ওপর এক জরিপ চালায়। জরিপের ফলাফল থেকে জানা গেছে, রপ্তানি প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থা বেড়েছে, তাদের ফরমাশ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উত্পাদনের ব্যয় কমেছে। এটা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাস চীনের রপ্তানির পরিস্থিতি ভালোর দিকে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। (ইয়ু/এসআর)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক