

দুই হাজার ৯৫১ দশমিক ৯১ পয়েন্টের অবস্থানকে নতুন ডিএসইএক্স সূচকের ভিত্তি ধরা হয়েছে। ফলে ২৭ জানুয়ারির লেনদেন শেষে নতুন এই সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় চার হাজার ৫৫ পয়েন্টে। এতে বিদ্যমান সাধারণ সূচকের সঙ্গে এটির অবস্থানগত পার্থক্য দাঁড়ায় প্রায় ১১৬ পয়েন্টের।
ডিএস-৩০ সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার পয়েন্টকে ভিত্তি ধরে ২০০৮ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে। এর ফলে ২৭ জানুয়ারি লেনদেন শেষে এই সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার ৪৬০ পয়েন্টে।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি ডিএসই পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় নতুন সূচক চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিনই ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৮ জানুয়ারি থেকে নতুন সূচক চালু হবে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৭ জানুয়ারির সাধারণ সূচককে নতুন ডিএসইএক্স সূচকের প্রারম্ভিক ভিত্তি ধরা হয়। এর পর থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনযোগ্য বা ফ্রি-ফ্লোট শেয়ারকে গণনায় নিয়ে বাজারের যে চিত্র পাওয়া যায়, তাতে গত পাঁচ বছরে ভিত্তিসূচকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার ১০৩ পয়েন্ট।
একই দিন এক হাজার সূচককে প্রারম্ভিক ভিত্তি ধরে গণনা করা হয় বাছাই করা ৩০ কোম্পানিকে নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক। অর্থাত্, ডিএস-৩০ সূচকের জন্য যেসব কোম্পানি বাছাই করা হয়, সেগুলোর শুধু লেনদেনযোগ্য শেয়ারের ভিত্তিতে বাজারের যে তথ্য পাওয়া যায়, তাতে গত পাঁচ বছরে ভিত্তিসূচকের সঙ্গে যুক্ত হয় প্রায় ৪৬০ পয়েন্ট।
নতুন সূচক চালু করা আগে ডিএসইর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি)-এর কার্যালয়ে গিয়ে নতুন সূচকের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে অবহিত করে।
ডিএসই কর্মকর্তারা জানান, সূচকের ঐতিহাসিক ধারা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতেই ২০০৮ সালের ১৭ জানুয়ারির দুই হাজার ৯৫১ দশমিক ৯১ পয়েন্টকে নতুন সূচকের ভিত্তি ধরা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, সূচক গণনার ক্ষেত্রে সাধারণত কমপক্ষে পাঁচ বছরের পুরোনো তথ্য বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি নতুন সূচকে পুরোনো ঐতিহাসিক ধারাকেও সংরক্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কখনো যদি কোনো গবেষক শেয়ারবাজার নিয়ে গবেষণা করতে যান, তাহলে অতীত প্রেক্ষাপটও যেন বুঝতে পারেন।
নতুন দুটি সূচক চালু হওয়ার দিন থেকে বিদ্যমান ডিএসআই সূচকটি আর প্রকাশিত হচ্ছে না। তবে ডিজিইএন কিছুদিন প্রকাশিত হতে থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর (এসঅ্যান্ডপি) সূচক গণনার নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করে নতুন এই দুটি সূচক তৈরি করেছে। নতুন এই সূচক চালুর দিন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। (এসআর)




