



এক: অনেকে জানেন, উচ্চ কলেস্টেরল মোটা হওয়া মূল কারণ। কিন্তু বেশি কলেস্টেরল খেলে একধরনের দাঁতের রোগ যাকে পেরিওডন্টাল বলে তা দ্বারা সহজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী করে।
দুই: স্বাস্থ্যকর দাঁত থাকলেও বছরে অন্তত দুবার দন্তচিকিত্সকের কাছে যাওয়া উচিত।
তিন: দাঁতের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মাত্র ২-৩ মিনিট এবং শিশুদের ক্ষেত্রে আরও কম সময় ব্যয় করতে দেখা যায়।
চার: অনেক মা শিশু-খাদ্যের গরম টেস্ট করার পর বাচ্চাকে খাওয়ান। এ সময় মায়ের মুখ জীবাণু-মুক্ত না থাকলে সহজেই তা বাচ্চাদেরকেও সংক্রামিত করতে পারে।
পাঁচ: ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ দাঁত পরিস্কারে সাধারণ টুথব্রাশের তুলনায় অধিক কার্যকর। এই টুথব্রাশ সহজেই দাঁতের মাড়ির নিচে ও ফাঁকে প্রবেশ করে পরিস্কার করতে পারে।
ছয়: চটকদার বিজ্ঞাপনে এমন অনেক টুথপেস্ট পাওয়া যা দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করা, দাঁতের রোগ প্রতিরোধ এবং দাগ নির্মূলে কার্যকর হয় না। তাই কেনার সময় অবশ্যই দাঁতের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক এমন টুথপেষ্ট কেনার প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত।
সাত: মুখের দূর্গন্ধ এবং জীবাণু প্রতিরোধে মাউথওয়াশের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে মনে রাখা উচিত মাউথওয়াশের কার্যকারিতা মাত্র ৩০ মিনিট থাকে এবং এরপর মুখে পূর্বের ন্যায় দুর্গন্ধ ও জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হবে।
আট: দন্তচিকিত্সক স্পার্কলিং ওয়াটারকে বুদ বুদ ওঠা খাবার পানিকে তরল করাত হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। কারণ এই পানিতে থাকা চিনি এবং অম্ল দাঁত ক্ষয়ের দ্রুত কার্যকর হয়।
নয়: প্রতিটি দাঁতের চারপাশে জীবাণু মিশ্রিত লালা থাকে। সেজন্য সকলের উচিত বেশি বেশি করে দাঁত পরিস্কার রাখা।
দশ: গত কয়েক দশক ধরে দন্তচিকিত্সকরা বাবা মা'র সঙ্গে শিশুকে দুধ খাওয়ানো ফিডারে নিপলের ব্যবহার ও দাঁতে ক্ষয়রোগ বিষয়ে আলোচনা করে আসছেন। চিকিত্সকরা প্রায়ই ফিডারে দুধ খেতে খেতে বাচ্চাদের ঘুমাতে না দেওয়া জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এ পরামর্শ খুব বেশি একটা কার্যকর হয়নি।
এগার: হাত ধওয়ার সময় যদি রক্ত বের হয়, তাহলে আপনি হয়তো তখনই ডাক্টারের কাছে যাবেন। কিন্তু দাঁত ব্রাশের সময় রক্ত বের হলে অনেকে খেয়াল করেন না। আসলে মাড়ি থেকে রক্ত বের হওয়ার মানে আপনার দাঁত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
বার: অনেকেই আছেন যাদের ভিতরের দাঁত খুব খারাপ, কিন্তু সামনের দাঁত সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর তার কারণ সামনের দাঁত সহজে লোকে দেখতে পায়। তাই ভিতরের দাঁত পরিস্কারে বেশী নজর দেয়া হয় না।
তেরো: দাঁতের ডাক্তাররা সব সময়ে রোগীদেরকে নিয়মিত দাঁত পরিস্কার রাখা এবং প্রতিবার দাঁত পরিস্কার শেষে বিশেষ সূতা- ফ্লোজ ব্যবহার করে দাঁতের ক্ষয়রোধ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চৌদ্দ: সাধারণত একজন মানুষ অপর একজনের মুখমন্ডলের মধ্যে প্রথমে তাকায় চোখের দিকে, তারপর দাঁত এবং এরপর চুলের দিকে খেয়াল করে। কিন্তু চুলের পরিচর্যায় যে পরিমান ব্যয় করা হয় তা দাঁতের তুলনা অনেক অনেক বেশি। তাই এখন থেকে দাঁতে পরিচর্যার ক্ষেত্রেও যথাযথ নজর দেয়া প্রয়োজন।




