

পথে যেতে আমরা ৪র্থ রিং রোডের পাশে 'বার্ড নেস্ট স্টেডিয়াম' দেখেছি অর্থাৎ যেখানে ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এই স্টেডিয়ামটির ভেতরে যেয়ে আমিসহ অন্য ৫ জন শ্রোতার দেখার ইচ্ছা থাকলেও পর্যাপ্ত সময় না থাকার কারনে আমরা সেটি দেখতে পারিনি। তবে স্টেডিয়ামটির আভিজাত্য বাহিরে থেকে লক্ষ্য করা গেছে।
সকাল ১০:৩০ মিনিটে আমরা বেইজিং ক্যাপিটাল বিমান বন্দরে আসি। এরপর ১১:৫০ মিনিটে হাইনান এয়ারলাইন্সে'র এইচইউ-৭২৭৯ ফ্লাইটে উঠি এবং আমরা দুপুর ২:২৫ মিনিটে হাইনান প্রদেশের সাইয়া পনিক্স ইন্টারন্যাশনাল বিমান বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আপনারা জানেন সিআরআই চলতি বছর অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেতার এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয়োজন করেছিলো 'মনোহর নারিকেল দ্বীপ--হাইনান আন্তর্জাতিক পর্যটন দ্বীপ' শীর্ষক সাধারণ জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতা। অর্থাৎ আমরা এখন সেই দ্বীপে রয়েছি।
সাইয়া পনিক্স ইন্টারন্যাশনাল বিমান বন্দরে আমাদেরকে স্বাগত জানান পূর্বে থেকে নির্ধারিত এখানকার পর্যটক গাইড আইআন। হাইনানে বিশেষ পর্যটন বাসে করে হোটেলে যেতে যেতে গাইড আমাদেরকে হাইনানের বিভিন্ন পরিচিতি তুলে ধরেন। গাইডের ভাষা অনুবাদ করে শুনান আমার বন্ধু মুক্তা আপা। তিনি আমাকে প্রথমে জানান গাইড হাইনানের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার কারনে তিনিও সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারেননা। আমরা জানতে পেরেছি হাইনানে অনেক মুসলমান আছে। মধ্য এশিয়া থেকে কয়েক'শ বছর আগে অনেক মুসলমান এখানে এসেছেন। হাইনানে সবাই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে ফলে এখানের আঞ্চলিক ভাষা সবাই বুঝতে পারেনা। এছাড়া আমাদের জন্য কিছু নিরাপত্তামূলক নিদের্শনা ছিলো।
বিকেল ৫:১০ মিনিটে আমরা পাঁচতারাযুক্ত "টিমটন ইন্টারন্যাশনাল হোটেল"এ উঠি। আমরা যে হোটেলে উঠেছি সেটি একেবারে সমূদ্রের কাছে অবস্থিত। হোটেলের প্রতিটি রুম থেকে সমূদ্র কাছ থেকে দেখা যায় এবং সমূদ্রের ডেউ এর গর্জন শুনা যায়। এছাড়া চারপাশে প্রচুর নারকেল গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং ফুলের বাগান রয়েছে।




