


গ্র্যাডি মেমোরিয়াল হসপিটাল-এর নিউরো-সার্জারি বিভাগের উপ-পরিচালক সঞ্জয় গুপ্ত বললেন: "মাথা ব্যাথা হলে আমি নিজেকে যে-চিকিত্সা দিয়ে থাকি, তা খুবই কার্যকর। দু'টো আঙ্গুল ভ্রু ও চোখের মাঝখানে রাখুন। ওপরে এবং নীচে চাপ দিন; এভাবে কয়েক সেকেন্ড রাখুন। দেখবেন মাথা ব্যাথা অনেকটা কমে যাবে।"
অ্যারিজোনা পশ্চিমী ঔষধ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অ্যান্ড্রু ওয়ে। তিনি বলেন: "আমি বরাবরই যোগব্যায়ামের বিড়াল ও গবাদি পশুর কৌশল ব্যবহার করে ব্যথা প্রশমন করে থাকি। কীভাবে? শুরুতে বিড়ালের মতো করে চার হাত-পায়ে দাঁড়ান। বাহু সোজা রাখুন। নি:শ্বাস ফেলুন। তারপর, চিবুক বুকের দিকে নামিয়ে আনুন; অনেকটা বিড়াল যেভাবে পেছনের দিকে স্ট্র্যাচিং করে, অনেকটা সেরকম। হাত মাটিতে রেখেই পেট মাটির দিকে নামিয়ে আনুন। এরপর ধীরে ধীরে বুক উঠিয়ে নিন। এভাবে কয়েক মিনিট ব্যায়াম করলেই দেখবেন ব্যাক পেইন বা পেছনের ব্যথা প্রশমিত হয়েছে।"
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক প্রধান ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তা মাইকেল রোইজেন বলেন, "অনেকে জানেন না, শরীরে কোনো কারণে ক্ষত সৃষ্টি হলে তা ভালো পানি দিয়ে পরিস্কার করা উচিত। এসব ক্ষেত্রে আমি ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ বাধি না। কারণ, ব্যান্ডেজ বাধলে ক্ষতস্থানে বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস রয়ে যায়।"
অনেকের মাঝেমধ্যেই ঠান্ডা লাগে। চিকিত্সকরা কীভাবে নিজেদেরকে ঠাণ্ডা লাগা থেকে বাঁচান? আসুন দেখা যাক।
ন্যাশভিলের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সক ট্রাভিস স্ট্রক বলেন: "গলায় ঠাণ্ডা লাগলে আমি লবণপানি দিয়ে বেশ কয়েকবার কুলকুচা করি এবং বেশি করে ফল ও সবজি খাই। ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য আমার শরীরের দরকার আরও বেশি ভিটামিন। এ ছাড়া, এসময় আমি শরীরচর্চাও করতে থাকি। কিন্তু অতিরিক্ত শরীরচর্চা করি না। এসময় আমি পর্যাপ্ত বিশ্রামও নিই। নাক বন্ধ হলে আমি লবণপানি দিয়ে নাকের গহ্বর পরিস্কার করি। প্রতি সকাল ও সন্ধ্যায় একবার পরিস্কার করি। এতে ভাইরাস নির্মূল হয়ে যায়।"
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের গ্রি ব্যারিংটনের চিকিত্সক সুসান বি. লর্ড বলেন: "নেতিবাচক ভাবনা শরীরের ক্ষতি করে। এতে শরীর সহজে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। প্রতিদিন সকালে এ-কারণে আমি ধ্যান করি। ধ্যানের সময় আমি মনে করি যে, আমার জীবন, চিন্তাধারা এবং শরীরের সব আবর্জনা নির্মূল হয়ে যাচ্ছে। আমি বারবার নিজেক প্রশ্ন করি: আমার কী দরকার-- খাদ্য, বিশ্রাম নাকি শরীরচর্চা? আমি প্রতিদিন আমার শরীরের চাহিদার কথা মাথায় রাখি এবং সে অনুসারে চলে সুস্থ থাকি।"
সানফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিনা এম সলোমন বলেন: "হাত পরিস্কার রাখা ভাইস প্রতিরোধের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করি না। আমি সবসময় অ্যালকোহলজাতীয় জীবাণুনাশক ব্যবহার করি। আপনি যদি খুব ভালো মানের সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলেন, তবে আশা করা যায় যে আপনি ৯৯.৯ শতাংশ জীবাণু নির্মূল করতে পেরেছেন।"
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেন্টিভ নিউ হেভেন অফ মেডিসিন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ডঃ ডেভিড কাত্জ বলেন: 'ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য দক্ষিণ আমেরিকার জিনসেং খাওয়া যেতে পারে। এ-ভেষজ আপনি সহজেই ঔষুধের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। ফ্লু-এর মৌসুমে দিনে দুবার করে জিনসেং খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ কমবে। এ ছাড়া, দস্তাও খাওয়া যেতে পারে। ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হলে প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম করে দস্তা খান। দেখবেন দ্রুত ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি পাবেন।"
ড. জোয়েল ফারহান বলেন: "শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সবচে ভালো খাদ্য হলো শাকসবজি। শাকসবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"




