


এক: তাঁরা আনন্দময় জীবন বেছে নেন।
সম্প্রতি মনোবিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁরা ৯ জন কর্মজীবী নারীর ওপর গবেষণা চালান। কর্মজীবী নারীরা তাদের কাজ নিয়ে কতোটা সন্তুষ্ট, তা জানার জন্য তারা নারীদেরকে নিজ নিজ কাজের মূল্যায়ণ করতে বলেন। দেখা গেল, সবাই তাদের নিজ নিজ কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট; তারা যে-কাজ করেন তা তাদের করতে ভালো লাগে না। বস্তুত, অপছন্দের কাজ করতেই তারা সবচে বেশি সময় ব্যয় করেছেন। অপছন্দের কাজ করতে গিয়ে অনেক নারী কেঁদেছেনও। অথচ তারা জানেন না যে, সুখী জীবন তাদের হাতের মুঠোর মধ্যে।
একজনের জীবন বিশ্লেষণ করা সহজ কাজ নয়। আপনি হয়ত একটি ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া সত্ত্বেও, সন্তুষ্ট হতে পারেননি। একটি গভীর প্রেমের সম্পর্ক হয়তো ছোট ছোট কারণে ভেঙে যায়। আমরা সবসময় স্বপ্ন দেখি। কিন্তু সে-স্বপ্ন বাস্তবায়ন সবসময় সম্ভব নয়।
নিজেকে সুখী করার জন্য প্রতিদিনের জীবনে খুব বেশি পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই। যদি আপনি প্রতিদিন আপনার অপছন্দের কাজ থেকে নিজেকে এক ঘন্টার জন্য দূরে রাখেন এবং ওই সময়টায় পছন্দের কাজ করেন, তাহলে দেখবেন নিজেকে আগের তুলনায় অনেক বেশি সুখী মনে হবে। তাহলে এখনই শুরু হোক নিজেকে সুখী হবার মিশন।
দুই: তারা কখনও 'কী হইলে কী হইত' ধরনের ভাবনায় ডুবে থাকেন না
সুখী মানুষ কখনো 'কী হইলে কী হইত' ধরণের ভাবনায় ডুবে থাকে না। যদি আমি একটি ভালো কাজ পেতাম, যদি আমার একজন ভালো পুরুষের সঙ্গে বিয়ে হতো, যদি আমি এত মোটা না-হতাম—এ-ধরণের চিন্তা বুদ্ধিমান মানুষকে পেয়ে বসে না।
সর্বশেষ এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, কী করলে সুখী হওয়া যায়---এ বিষয়ে অনেকের চিন্তা-ভাবনাই সঠিক নয়। অর্থের মানদণ্ডে কাজকে সবসময় বিচার করা ঠিক নয়; আবার কোন কোন গুণ থাকলে একজন স্ত্রী বা স্বামী ভালো হবেন, তাও সঠিকভাবে বলা মুশকিল। তা ছাড়া, যা হবার তাতো হয়েই গেছে; এ নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ কী? অতীতকে নিয়ে না-ভেবে, ভবিষ্যতের দিকে তাকানোই বুদ্ধিমানের লক্ষণ। অন্যের সুখ দেখে মন খারাপ করারও কিছু নেই। মনে রাখতে হবে, আপনার অধিকারে এমন অনেক জিনিস আছে, যা অন্যের নেই।
তিন: তারা সবসময় ভালো বন্ধুকে গুরুত্ব দেন
মানবীয় যোগাযোগ সুখী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভালো একজন বন্ধুর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে আড্ডা আপনার মনে সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করবে। ভালো বন্ধুর সঙ্গই আপনার জন্য আনন্দদায়ক। তাই, সুখী মানুষ তারাই যারা ভালো বন্ধুর কদর করে।




