


সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, বাবা-মা পরিবারে যেভাবে আচরণ করে, শিশুদের মনের ওপর তার সরাসরি প্রভাব পড়ে। বাবা-মায়ের আচার-আচরণ শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বাবা-মা'র উচিত নীচের বিষয়গুলো খেয়াল করা।
এক: বাচ্চাদের সামনে ঝগড়া করবেন না
বাচ্চাদের সামনে বাবা-মা যদি ঝগড়া করে বা অন্যদের সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে বাচ্চারা ভীত হতে পারে। তাই বাচ্চাদের সামনে সবধরনের ঝগড়া-বিবাদ এড়িয়ে চলা উচিত।
দুই: বাচ্চাদের সামনে জীবন নিয়ে অভিযোগ করবেন না বা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করবেন না
বাবা-মা বাচ্চাদের সবকিছু। জীবন নিয়ে বাবা-মা'র দৃষ্টিভঙ্গি বাচ্চাদের নিরাপত্তা অনুভূতি ও বড় হওয়ার আস্থা গড়ে তোলার ওপর প্রভাব ফেলে। বাবা-মা যদি সবসময় জীবন নিয়ে অভিযোগ করতে থাকেন বা সবসময় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখান, তাহলে বাচ্চাদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাচ্চারা জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে বড় হতে থাকবে, যা মোটেই কাম্য নয়।
তিন: বাচ্চাদের সামনে অন্যের সমালোচনা করবেন না
কোনো কোনো বাবা-মা বাচ্চাদের সামনে সবসময় অন্যের সমালোচনা করেন। তারা মনে করেন যে, বাচ্চারা ছোট, তারা এসব কিছুই বোঝে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, শিশুরা দ্রুত সবকিছু শিখে ফেলে এবং পিতা-মাতার এই বদভ্যাসও সহজেই আয়ত্ত করে ফেলে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই দেখা যাবে সেও অন্যের সমালোচনা করে মজা পাচ্ছে।
চার: বিভিন্ন ইস্যুতে দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের সময় চরম মত প্রকাশা করবেন না
কোনো কোনো বাবা-মা চরম দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে চরম মনোভাব প্রদর্শন করেন। কোনোকিছুকে খুব ভালো বা খুব খারাপ বলার অভ্যাস ভালো নয়। বাচ্চারা এ-থেকে বাস্তবতা সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে বড় হয়। তাই বাচ্চাদের সামনে কোনো ইস্যুতে চরম মন্তব্য না-করা উচিত।




