

শিষ্য থু থু করতে করতে বলল: 'অত্যন্ত তিক্ত'।
গুরু এবার একই পরিমাণের লবণ নিয়ে শিষ্যের সঙ্গে একটি হ্রদের ধারে গেলেন। পথে দু'জনের মধ্যে কোন কথাবার্তা হল না। হ্রদের পাশে পৌছে গুরু শিষ্যকে লবণটুকু হ্রদে ছড়িয়ে দিতে বললেন। শিষ্য তাই করল। গুরু বললেন: 'এখন তুমি হ্রদের পানি একটু টেস্ট করে দেখ।' শিষ্য হ্রদ থেকে এক আজলা পানি নিয়ে পান করল। গুরু জিজ্ঞেস করলেন: 'এবার কেমন লাগল?'
'এ-পানি খেতে খুব ঠান্ডা'---শিষ্যটি উত্তর দিল।
'পানিতে লবণের অস্তিত্ব টের পেয়েছো কি?' গুরু জিজ্ঞেস করলেন।
'না তো' শিষ্যটি একটু অবাক হয়ে বলল।
গুরু এবার শান্তভাবে শিষ্যের পাশে বসলেন। শিষ্যের হাতে হাত রেখে বললেন, "লবণের মতো দু:খের ক্ষমতাও সীমিত। একটু বেশিও না, কমও না। আমাদের সহিষ্ণুতা দু:খের মাত্রা নির্ধারণ করে; পানির পরিমাণ যেমন নির্ধারণ করে লবণের তিক্ততা। তোমার সহিষ্ণুতা গ্লাসের পানির মতো সামান্য, তাই তুমি অল্পতেই দু:খ পাও। যেদিন তুমি তোমার সহিষ্ণুতা হ্রদের পানির মতো বাড়াতে পারবে, সেদিন দেখবে কোনো দু:খকেই আর দু:খ মনে হবে না। হ্রদের পানি যেমন লবণের সকল তিক্ততা শুষে নিয়েছে, তোমার বিপুল সহিষ্ণু মনও সব দু:খ শুষে নেবে।"




