


১: নিজের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে
প্রথমে আপনি নিজের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। তারপর ব্যয় সম্পর্কে ভালোভাবে চিন্তা করুন। এবার কতো ব্যয় করবেন এবং কতো সঞ্চয় করবেন, সিদ্ধান্ত নিন।
২: অবসর-পরবতী জীবনের জন্য প্রতি মাসে কিছু সঞ্চয় করুন
প্রতি মাসে যে আয় করেন, তা থেকে অবসর-পরবর্তী জীবনের জন্য কিছু সঞ্চয় করুন।
অনেকে হয়ত জিজ্ঞেস করবেন: অবসরের পরের জীবনের জন্য এতো আগেভাগে সঞ্চয় করার দরকার কী? কারণ, হয়তো ৪০ বছর পর এ সঞ্চিত অর্থ আপনার কাজে লাগবে। তখন হয়তো আপনি বলবেন: অবসরে যাবার পরতো অবসরকালীন ভাতা পাওয়া যায়; গ্র্যাচুইটির টাকা পাওয়া যায়।
জি, এ কথা ঠিক। কিন্তু অবসর নেয়ার পর আপনি যে অর্থ পাবেন তা কি চাকরিরত অবস্থায় যা পাচ্ছেন, তার সমান বা কাছাকাছি হবে? নিশ্চয়ই না। তখন জীবনযাত্রার ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে বেড়ে যাবার কথা। সেজন্য অবসরের পর জীবনের গুণগত মান কমাতে না-চাইলে, এখন থেকেই মাসিক আয়ের অন্তত ১০ শতাংশ অর্থ সঞ্চয় করে রাখুন। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এ-পরামর্শ দিয়েছেন। আর সঞ্চয়ের কাজটা এখনই শুরু করুন। যতো তাড়াতাড়ি সঞ্চয় শুরু করবেন, বেলা শেষে জমানো অর্থের পরিমাণটাও ততো বেশি হবে।
তিন: বিল চেক করুন নিয়মিতভাবে
প্রতিমাসে আপনাকে যেসব বিল পরিশোধ করতে হয়, সেগুলো নিয়মিত চেক করুন। বাসা ভাড়া, টেলিফোন বিল, গাড়ির জ্বালানি খরচ এবং পার্কিং ফি আপনার মোট আয়ের ৬০ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। এর মধ্যে বসবাসের ব্যয় সবচে বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি মাসে এসব প্রয়োজনীয় ব্যয় আপনার মোট আয়ের ৫৫ শতাংশের মধ্যে থাকা উচিত।
৪: জীবনযাত্রার ব্যয় সম্পর্কে অনুমান করুন
জীবনযাত্রার ব্যয়ের মধ্যে আছে খাদ্য, নতুন কাপড়, দৈনন্দিন বিনোদন এবং পর্যটন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ব্যয় আপনার মোট আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।
৫: কিছু অর্থ হঠাত প্রয়োজনের জন্য রেখে দিন
সর্বেশেষ এক জরিপ থেকে জানা গেছে, ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ স্বীকার করেন যে, যদি হঠাত্ ১০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়, তখন তা তাদের কাছে খুবই কঠিন বলে মনে হয়। তাই আপনার উচিত কিছু অর্থ হঠাত প্রয়োজনের জন্য রেখে দিন। বিশেষজ্ঞদের মতে নানা ঘটনা মোকাবিলার জন্য প্রতিমাসের আয়ের ৫ শতাংশ আলাদাভাবে রাখা উচিত। জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য এ-অর্থ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৬: প্রতি সপ্তাহান্তে আয়-ব্যয়ের হিসেব করুন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি রাতে দিনের আয়-ব্যয় হিসেব করার দরকার নেই। প্রতি সপ্তাহান্তে আয়-ব্যয় হিসেবের জন্য আধা বা এক ঘন্টা রেখে নিন।
সাত: নগদ টাকায় খরচ করা পরীক্ষা দিন
আপনি কি ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা করতে অভ্যস্ত হয়েছেন? তাহলে এক সপ্তাহের জন্য নগদ অর্থে কেনাকাটা করার পরীক্ষা দিন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এভাবে করলে আপনার কেনাকাটার অভ্যাস পরিবর্তিত হতে পারে এবং পরে ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটার সময়ও আপনি সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন।
আট: মোবাইলে হিসেব করার সফট্ওয়ার ব্যবহার করুন
অ্যাপেল বা সামসাং যাই হোক না কেন, আজকাল মোবাইলগুলোতে থাকে বিভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সফ্টওয়ার। সে সফ্টওয়ারের মাধ্যমে আপনি প্রতিদিনের ব্যয়, ক্রেডিট কার্ডের ব্যয় এবং ব্যাংক তথ্যসহ বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার আর্থিক জীবনকে আরো সুশৃঙ্খল করবে।




