Web bengali.cri.cn   
আপনি কি প্রাণভরে হাসতে পারেন?
  2012-10-18 19:49:34  cri

আপনি কি প্রাণভরে হাসতে পারেন? ছোটবেলায় খুব ছোট ছোট বিষয় আপনাকে আনন্দ দিত। এখন কি আপনি সহজে আর হাসতে পারেন না? বড় হবার পর কি আপনার মনে শিশুর সরলতা একেবারেই অবশিষ্ট নেই? তাহলে বলতেই হবে যে, আপনি সুখী মানুষ নন। পিটার প্যান কিন্তু তেমন নন। তিনি বড় হয়েছেন, কিন্তু তার মনটাকে খুব একটা বড় হতে দেননি। তিনি একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় ধরে রেখেছেন শিশুর সারল্য। শরীর বড় হলেও, তার মন রয়ে গেছে তুলনামূলকভাবে নবীন। তার মতো হতে পারলে জীবন অনেক আনন্দময় হতে পারে।

আমরা সবাই ছোটবেলায় বড় হবার স্বপ্ন দেখতাম; মনে হতো, বড় হলে কতো আনন্দ। কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম। বড় হবার পর মনে হয়, ছোটবেলাই ভালো ছিল। আসলে, ছোটবেলা হোক, বা বড়বেলা, আনন্দে থাকাটাই মুখ্য। আনন্দে থাকতে হবে। আর এর জন্য চাই হাসিখুশী থাকা।

আমাদের চারপাশের জটিলতা দেখা বিষন্ন হবার কিছু নেই। জটিলতা আর সমস্যাতো থাকবেই। বিশ্বকে দেখুন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। আপনি বিশ্বকে যে দৃষ্টিতে দেখবেন, বিশ্ব আপনার কাছে সেভাবেই প্রতিভাত হবে। মনোভাব ইতিবাচক করুন, দেখবেন হাসিখুশী থাকার অনেক উপাদন আপনার জীবনে খুঁজে পাবেন। অনেকে বলেন, এখন আগের মত হাসি আর আনন্দ নেই। বিশ্বের জটিলতা এর জন্য দায়ী নয়; দায়ী তাদের মানসিকতা। তাদের মন আর আগের মতো সরল নেই। যদি হাসিখুশি থাকতে চান, আনন্দময় জীবন চান, তবে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলুন। শিশুর সরলতা নিয়ে আপনাদের চারপাশে তাকান, দেখবেন মন ভালো হবার মতো অনেক উপাদন চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নারী সুসান আনন্দময় সুন্দর জীবনের জন্য কিছু উপদেশ দিয়েছেন। আসুন জেনে নিই সেগুলো:

১: হাসুন, সবসময় জোড় গলায় হাসুন

আমার অনেক বন্ধু আছে। তারা সবসময় আমার সঙ্গে মজা করেন। একারণে আমি সবসময় হাসিমুখে থাকি। সত্যিই অট্টহাসির কোনো তুলনা হয়

দুই: মাঝেমধ্যে স্ন্যাকস্ খান

নিয়মিত ও নির্দিষ্ট খাওয়া-দাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু স্ন্যাকস্ খাওয়া মন্দ না; এটা মনের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

তিন: গাড়িতে বসে গানের তালে তালে শরীর দোলান

লজ্জার কিছু নেই। ট্রাফিক জ্যামে আটকে আছেন? আপনার প্রিয় কোনো গান শুনুন এবং গানের তালে তালে শরীর দোলান, হাত-পা ছুড়ুন। মানুষ দেখবে বলে যদি লজ্জা লাগেই, গাড়ীর জানালা লাগিয়ে দিন। দেখবেন, মন কেমন ফুড়ফুড়ে হয়ে যাবে এবং দেহের ক্লান্তি অনেকটাই ঝড়ে যাবে।

৪: লাফ দিন

সুযোগ পেলেই লাফালাফি করুন। মজার কিছু দেখে আমরা অনেক সময় লাফ দেয়ার ইচ্ছে মনে জাগলেও লোকলজ্জার ভয়ে লাফ দেয়া থেকে বিরত থাকি। এটা ঠিক নয়। মনের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। নি:সংকোচে লাফ দিন। আপনি মানসিক প্রশান্তি লাভ করবেন।

৫: তরুন-তরুনীদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করুন

প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আমরা হয়তো অনেককিছুই জানি। কিন্তু তরুন-তরুনীদের মনোভাব জানা সবসময় আমাদের পক্ষে সম্ভব না হবারই কথা। ওদের মনোভাব জানান চেষ্টা করুন। তাদের ভিন্নধারার চিন্তাভাবনা ও কৌতুহল দ্বারা আপনি নিজেও প্রভাবিত হতে শিখুন। দেখবেন আপনিও তাদের মতো মজা করতে পারছেন।

৬: গভীরভাবে ভালোবাসুন।

আমি খুব ভাগ্যবান। নবীন বয়সে প্রিয়জনকে খুঁজে পেয়েছি, তাকে বিয়ে করেছি এবং এ পর্যন্ত আমাদের জীবন খুব সুখের। অবশ্য দৈনন্দিক জীবনে আমরা ঝগড়া করি না তা নয়। কিন্তু তাকেই আমি সবচে বেশি ভালোবাসি। প্রিয়জনকে গভীরভাবে ভালোবাসার মতো আনন্দময় অভিজ্ঞতা আর নেই। তাই, প্রিয়জন মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসুন। বিনিময়ে তার কাছ থেকে কতোটা পেলেন, সে চিন্তা মাথায় ঠাঁই না-দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

মন্তব্য
মন্তব্য
লিঙ্ক