সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে দাঁত ব্রাশ করুন। বৃটেনের দাঁত সমিতির গবেষক গেডেন বলেন, 'নাস্তার আগে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত ভালো থাকে।'
আট থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে নাস্তা করতে হবে। ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞানী কেভিন বলেন, 'নাস্তা করতে হবে। নাস্তা করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকে।'
সকালে শরীরচর্চা না-করাই ভালো। ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন, "সকালে শরীর চর্চা করা ঠিক নয়। কারণ এ-সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল থাকে। তবে এসময় হেটে অফিসে যাওয়া যায়।'
সাড়ে নয়টায় দিনের সবচে জটিল কাজ করতে পারেন আপনি। নিউইয়র্কে ঘুমসম্পর্কিত গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘুম থেকে ওঠার দু'এক ঘন্টার মধ্যে মাথা সবচে প্রশান্ত থাকে।
সাড়ে দশটায় কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে নিন। যদি আপনি মূলত কম্পিউটারেই কাজ করেন, তবে এক ঘন্টা পর পর তিন মিনিট করে চোখকে বিশ্রাম দিন।
এগারটায় কিছু ফল খান। এ-সময় শরীরে রক্তে শর্করা কমে যায়। সেজন্য একটি কমলা ও লাল রঙের ফল শরীর পর্যাপ্ত লৌহ ও ভিটামিন সি যোগাতে পারে।
দুপুর একটায় পাউরুটির সঙ্গে কিছু ডাল ও সবজি খান। সুস্বাদু লাঞ্চ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডালের মধ্যে সমৃদ্ধ সেলুলোজ রয়েছে।
আড়াইটা থেকে বেলা সাড়ে তিনটায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। এথেন্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, যারা দুপুরে কমপক্ষে ৩০ মিনিট এবং প্রতি সপ্তাহে তিনবার করে বিশ্রাম নেন, তাগের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ৩৭ শতাংশ কমবে।
বিকেল চারটায় এক কাপ দই খান। এ সময় দই খেলে রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা স্থিতিশীল হয়। প্রতিদিন নাস্তা, লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝখানে দই খান। যা হৃদপিন্ডের জন্য ভালো।
সন্ধ্যা ৫টা থেকে সাতটায় শরীরচর্চা করুন। শরীরচর্চার এটাই সবচে ভালো সময়।
সন্ধ্যা সাড়ে সাটটায় অল্প খাবার দিয়ে ডিনার সারুন। ডিনার বেশি খেলে পাচনতন্ত্রের ওপর বেশি চাপ পড়বে। ডিনারে বেশি সবজি খেতে থাকেন এবং ধীরে ধীরে খান।
রাত পৌন দশটায় কিছুক্ষণ টেলিভিশন দেখতে পারেন। বিছানায় শুয়ে টেলিভিশন দেখবেন না।
রাত এগারটায় গরম জলে গোসল করুন। শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমলে আপনি আরাম পাবেন এবং ভালো ঘুম ভালো হবে।
রাত সাড়ে এগারটায় ঘুমিয়ে পড়ুন। এ সময় ঘুমিয়ে আপনি যদি সকাল সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন, তাহেল আপনার পর্যাপ্ত ৮ ঘন্টা ঘুম হবে।