|
এই বক্স ফেরত দেয়ার পর এমেলি নিজের জীবনের মর্মার্থ খুঁজে পান। তিনি গোপনে আশেপাশের মানুষকে সাহায্য করা শুরু করেন এবং তাঁদের জীবন পরিবর্তনের চেষ্টা করেন।
এক সবজির দোকানের মালিক সবসময় তাঁর এক কর্মী নিয়ে উপহাস করতে পছন্দ করতেন। একবার এমেলি এক ধাপ্পাবাজির মাধ্যমে তার সাথে কঠোর আচরণ করেন।
এমেলির এক নারী প্রতিবেশী ছিলেন যাকে তাঁর স্বামী তরুণ সময়ে ছেড়ে অন্য এক মহিলার সঙ্গে চলে যান। তখন থেকে জীবনের প্রতি কোনো উত্সহ ও আগ্রহ নেই সেই প্রতিবেশীর। এমেলি তাঁর স্বামীর পক্ষ থেকে সেই প্রতিবেশীকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠি পড়ে প্রতিবেশী আবার জীবনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন।
এমেলির মা মারা যাওয়ার পর বাবা সবসময় একা একা ঘরের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখেন। তিনি বাইরে বের হন না। এমেলি তাঁর বাবার বাগানের সান্তাক্লজের ভাস্কর্য চুরি করে একজন ফ্লাইট চেড় বান্ধবীকে দেন। ফ্লাইট চেড় সেই সান্তাক্লাজের ভাস্কর্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান এবং ভাস্কর্যের ছবি তুলে এমেলির বাবাকে পোস্ট করেন।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়মিতভাবে সান্তাক্লজের ছবি পেয়ে বাবা মুগ্ধ হয়ে যান। তিনি লাগেজ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং বিশ্ব ভ্রমণের প্রস্তুতি নেন।
বলা যায়, 'এমেলি' একটি খুবই উষ্ণ চলচ্চিত্র। মূলত অন্যদেরকে সাহায্য করার মাধ্যমেই এমেলি খুঁজে পান নিজের জীবনের সুখ, শান্তি, ভালোবাসা ও পরম আনন্দ। (লিলি/টুটুল)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |