|
চিঠির ঠিকানা অনুযায়ী ছেলে বাবার গল্প বলা সেই সুন্দর জেলায় পৌঁছান। সেই নারী ছেলেকে তাঁর বাবার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার গোটা গল্প বর্ণনা করেন। এই নারীর যখন মাত্র ৮ বছর বয়স তখন এই জেলায় প্রথমবারের মতো তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা হয়। সে সময় বাবা নিজের স্বপ্নকে অন্বেষণ করার জন্য এই জেলায় চিরদিন থাকার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন।
দিন দিন এই জেলার লোকজন বাইরের বিশ্বে চলে যান এবং ধাপে ধাপে জেলাটির পতন হয়। এক দিন বাবা এই জেলায় আবার ফিরে আসেন এবং সেখানকার পতনশীল অবস্থা দেখে অর্থ সংগ্রহ করে জেলাটিকে আবার নবায়ন করে দেন।
এই নারী বাবাকে নিজের মনের কথা বলেন। তাঁর ছোটবেলায় বাবা এই জেলায় ছিলেন, তখন সে ৮ বছর বয়স থেকেই বাবাকে ভালোবাসতে শুরু করেন। টানা বিশ বছরেরও বেশি সময় পর বাবার প্রতি তাঁর ভালোবাসা একবিন্দুও পরিবর্তিত হয়নি। তবে বাবা নারীকে জানিয়ে দেন, তিনি শুধুমাত্র তাঁর স্ত্রীকে ভালোবাসেন এবং বিনয়ের সাথে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন।
হাসপাতালে ফিরে যাওয়ার পর বাবার ডাক্তার ও পুরনো বন্ধু তাঁকে জানান যে, 'তোমার জন্ম প্রসঙ্গে আসলে দু'টি ভিন্ন বাস্তবতা রয়েছে। একটি হলো, তোমার জন্মের সময় তোমার বাবা অন্য জায়গায় কাজ করতেন। তিনি যদিও বাইরে যেতেন না, তবে হাসপাতালের তখনকার নিয়ম অনুযায়ী পুরুষদের ডেলিভারি রুমে যাওয়া নিষেধ ছিলো। এক কথায় বলা যায়, তোমার জন্মগ্রহণের সেই মুহূর্তে বাবা তোমার পাশে ছিলেন না। অন্য একটি বাস্তবতা হলো, তোমার বাবার বলা সেই গল্প। তোমার জন্মের সেই দিনটিতে তোমাকে উপহার দেওয়ার জন্য তিনি নদীতে একটি বিশাল মাছ ধরেন। তিনি নিজের বিয়ের আংটিকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে মাছটি ধরেন। কারণ গল্প অনুযায়ী নদীর সেই বড় মাছটির জন্ম হয়েছে চোর থেকে। চোর অবশ্যই স্বর্ণ পছন্দ করে। তবে মাছটি তাঁর বিয়ের আংটি খেয়ে ফেলে। তারপর তিনি সেই মাছটিকে নদীতে মুক্ত করে দেন এবং মাছও বিয়ের আংটি বাবাকে ফেরত দেয়। তাই তোমার জন্মের দিনে তোমার বাবা তাঁর বিয়ের আংটিকে উপহার হিসেবে তোমাকে দেন।'
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |