|
১৯৩৫ সালে 'সং অব দ্য ফিশারমেন' চলচ্চিত্রটি মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে সম্মানসূচক পুরস্কার লাভ করে এবং এটি হলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া চীনের প্রথম চলচ্চিত্র। ২০০০ সালে 'ক্রচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন' নামে চীনা ভাষার চলচ্চিত্রটি সারা বিশ্বে ২০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের বক্স-অফিস হিট করেছে, ফলে অধিক থেকে অধিকতরভাবে দেশীয় চলচ্চিত্র বিশেষ করে কুংফু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তবে বিদেশের বাজারে দেশীয় চলচ্চিত্রের অবস্থান ভাগাভাগি বছর বছর কমে যাচ্ছে।
মার্কিন বাজারকে একটি উদাহরণ হিসেবে নিয়ে বলা যায়, ৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত 'রেড ক্লিফ' চলচ্চিত্রটি উত্তর আমেরিকায় ৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করে। 'লেট দ্য বুলেটস ফ্লাই' চলচ্চিত্রটি উত্তর আমেরিকায় একটিও প্রকাশনা কোম্পানি খুঁজে পায় নি। চীনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালকের 'আফটার শক' চলচ্চিত্রটি উত্তর আমেরিকায় মাত্র ৬০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করে।
চায়না ফিল্ম প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল বা সিএফপিআই-এর পরিচালক চৌ থিয়ে তোং 'ডায়মন্ড' এই শব্দ দিয়ে বিদেশে দেশীয় চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, 'ডায়মন্ডের উপরে হলো বিদেশে রপ্তানিকৃত চলচ্চিত্রগুলো। এই চলচ্চিত্রগুলো দেশীয় চলচ্চিত্রের বিশ্বমুখী হওয়ার প্রধান চ্যানেল। ডায়মন্ডের নীচে হলো চলচ্চিত্র উত্সবে পুরস্কার পাওয়া বা উত্সব চলাকালে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়া চলচ্চিত্রগুলো। এই চলচ্চিত্রগুলো প্রধানত ইউরোপের বাজারমুখী হয়। ডায়মন্ডের মধ্যাংশ হলো সত্যিকারভাবে চীনের সামাজিক অবস্থা তুলে ধরা চলচ্চিত্রগুলো। তবে বিদেশিদের চোখে এসব চলচ্চিত্রে তাঁদের অচেনা এক একটি কাহিনী বর্ণনা করা হয়'।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |