|
এই ঘটনার কয়েক দিনের পর আকস্মিক ভাবে লাও চোংয়ের স্ত্রীর একটি ফোন কল আসে। ফোনে লাও চোংয়ের স্ত্রী ভীষণ তিরস্কারের সাথে তাঁকে জানিয়ে দেয় যে, 'আমার স্বামীর সাথে তোমার নোংরা সম্পর্কের ব্যাপারটা আমি জেনে ফেলেছি। আর আমি তোমাকে স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই যে, তুমি আমার স্বামীর জন্য আর অপেক্ষা করবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোমার গর্ভপাত করা উচিত। কারণ কোম্পানীর অর্থ আত্মসাতের দায়ে সে এখন জেলখানায় বন্দী রয়েছে।'
এভাবে চিয়া চিয়া রাতারাতি অর্থনৈতিক, মানসিক, শারিরিক বলতে গেলে সব দিক থেকেই নিঃস্ব এক মানুষে পরিণত হয়। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই গর্ভপাত না করে সন্তান-প্রসবের সিদ্ধান্তে অটল থাকে।
এই নাজুক পরিস্থিতিতে ফ্রানক আগের মতোই অতি যত্নের সাথে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায় এবং তাকে মানসিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। ফ্রানক এবং তাঁর মেয়ের আন্তরিক আতিথিয়তা আর ভালবাসায় সিয়াটলের মতো অজ্ঞাত শহরে থেকেও চিয়া চিয়ার মনে হলো যেন সে নিজের বাড়িতেই বসবাস করছে।
চলচ্চিত্রের শেষে লাও চোং জেলখানা থেকে বের হয়ে আসে এবং তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে চিয়া চিয়াকে বিয়ে করেন। চিয়া চিয়া আবার পেইচিংয়ে ফিরে যায় এবং আগের মতোই অর্থ, বিত্ত আর প্রাচুর্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে শুরু করে। কিন্তু তাঁর মন পড়ে থাকে সিয়াটলে। তিনি ফ্র্যানক আর তাঁর ফুটফুটে মেয়েকে ভুলতে পারছে না কিছুতেই। অবশেষে চিয়া চিয়া প্রাচুর্যের জীবন ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে এবং একজন ধনী পুরুষের ওপর নির্ভশীল থেকে জীবনাতিপাত করতে চাইল না আর। বরং তিনি নিজের পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে জীবন যাপন করাকেই মহত্তর জীবন বলে মনে করলো। তাই সে একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে মানুষকে মজার মজার সকল রান্না শেখানোর কাজ শুরু করে দেয়। অচিরে এতে সাফল্যও পেয়ে যায় সে।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |