চলচ্চিত্রে সোং ছিং লিং, লি চি শেন ও চাং লান--এ তিন জনের সঙ্গে মাও সে তুংয়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে কাহিনী এগিয়ে চলে। এতে প্রাণবন্তভাবে সুদীর্ঘকালের বিপ্লবের সময় চীনের গণতান্ত্রিক পার্টির সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গভীর মৈত্রী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি আগে নির্মিত একই ধরনের চলচ্চিত্রের চেয়ে খানিকটা ভিন্ন ধাচের। এতে শীর্ষনেতাদের ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে।
১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে চীন জাপানি আক্রমণ প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয়ী হয়। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান মাও সে তুং কুওমিন্টাং পার্টির চেয়ারম্যান চিয়াং চিয়েশির আমন্ত্রণে তাঁর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করার জন্য ছোংছিংয়ে যান। ছোংছিংয়ে চেয়ারম্যান মাও চীনের গণতান্ত্রিক লীগের চেয়ারম্যান চাং লানসহ গণতান্ত্রিক পার্টির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালান। প্রচেষ্টার ফল হিসেবে কুওমিন্টাং পার্টি ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে রাজনৈতিক পরামর্শের ভিত্তিতে বহুদলীয় যুক্ত সরকার গড়ে তোলা সম্পর্কিত 'ডাবল দশম চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয়।
1 2 3 4