জানা গেছে, গত বিশ্ব বছরে শান নান এলাকা বিপুল মূলবান সাংস্কৃতিক সম্পদ সংগ্রহ ও পুরুদ্ধা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৮ শ'রও বেশি কাহিনী এবং ১৮ হাজারেরও বেশি বেসরকারী সংগীত। এ সব ব্যবস্থার কল্যাণে " চা সু সুয়ে পা" অপেরাসহ ঐতিহ্যবাহী অপেরা সুষ্ঠুভাবে দেশের প্রথম দফা অবস্তু সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার তালিকায় যোগ দিয়েছে এবং তার সজীব হয়ে উঠেছে।
জাতীয় সাংস্কৃতিক ত্রাণ কর্মকান্ডের একটি অংশ হিসেবে ১৯৮৬ সালে শান নান এলাকা বিশেষ করে চা সি সুয়ে পা অপেরা সংক্রান্ত ত্রাণের ক্লাস চালু করেছে। 'পাই মা তুন চু' তাদের শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ সম্পর্কে পাই মা তুন চু বলেন:
" ক্লাস শুরুর দিকে মোট ২৬জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তারা চা সি সুয়ে পা অপেরার ওপর সব কিছুই জানতে পারছিলেন না। সুতরাং, শুরুর দিকে তারা এ অপেরা শিখতে বেশ কষ্টকর লাগতো। তবে তারা অনেক মনযোগ নিয়ে অপেরা শিখেছেন। সারা দিন এবং রাতেও অপেরা শেখার চেষ্টা করেছিলেন।"
এখন এ ক্লাসে ইতোমধ্যেই ২ শ'রও বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। উল্লেখযোগ্য, পাই মা তুন চু'র একজন ছাত্র--নিমা ছি রেন ইতোমধ্যেই সুষ্ঠুভাবে চা সি সুয়ে পা অপেরার উত্তরাধিকার হওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" পাই মা তুন চু শিক্ষক কেবল যে চা সি সুয়ে পা অপেরার পরিবেশনা আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন তা নয়, তা কীভাবে একটি শিল্পীর ওপর ভালবাসা করার বিষয়টিও আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন। চা সি সুয়ে পা অপেরা শেখার ওপর আরও অনেক কষ্ট সম্মুখীন হলেও আমি তাদেরকে অতিক্রম করে শিক্ষক ও আমাদের যৌথ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অব্যাহতভাবেপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।"
জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে তিব্বতের অধীনস্ত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়-তিব্বতী জাতীয় ইন্সটিটিউট চীনের শেন সি প্রদেশের সিয়ান ইয়াং শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ইন্সটিটিউটে তিব্বতী ভাষা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, হিসাব, কৃষি স্বাস্থ্য রক্ষা পশু চিকিত্সা বিভাগ খোলা হয়। এ ইন্সটিটিউটে প্রধানত তিব্বতের তিব্বতী ও মেন পা সংখ্যালঘু জাতির ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা হয়। পরে বিশ বাইশ বছরের মধ্যে তিব্বত কৃষি ও পশু পালন কলেজ, তিব্বতী বিশ্ববিদ্যালয় ও তিব্বতী চিকিত্সা পদ্ধতির কলেজ পর পর প্রতিষ্ঠিত হয়।
পাশাপাশি দেশের অন্যান্য স্থানেও কেন্দ্রীয় সংখ্যাঘু জাতির বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন সংখ্যালঘু জাতির কলেজ, শাংহাই অপেরা কলেজ ও শাংহাই সংগীত কলেজও কিছু সংখ্যক তিব্বতী ছাত্রছাত্রীকে গড়ে তুলেছে। তারা তিব্বতের প্রথম প্রজন্মের শিক্ষক, চিকিত্সক, শিল্পী এবং সংগীতজ্ঞে পরিণত হয়েছেন। --ওয়াং হাইমান
1 2 |