পাখোও রাজপথের শত বছরের একটি নেপালী দোকান সিয়ামাওগাবোর দোকানদার রত্ন কুমার থুলাদাহা বলেছেন , পুরনো জিনিস সোনার মত মূল্যবান । এক শ' বছর আগে তার দাদার বাবা নেপাল রাজ্য থেকে ঘোড়ায় চড়ে হিমালয় পর্বত ডিংগিয়ে তিব্বতে আসেন । তিনি পাখোও রাজপথে একটি দোকান খুলেন এবং প্রধানত মুর্তি , থাং খা চিত্র ও ধর্মীয় শাস্ত্র বিক্রি করেন ।
আজ রত্ন কুমার থুলাদাহা পাখোও রাজপথে বিশ বাইশ বছর ধরে জীবনযাপন করছেন । তিনি একজন তিব্বতীকে বিয়ে করেন । তাদের দুটি সন্তান রয়েছে । তিনি নিজের চোখে পাখোও রাজপথের বিরাট পরিবর্তন দেখতে পেয়েছেন । পাখোও রাজপথ উন্নয়নের জন্যে চীন সরকার যে বিরাট অংকের অর্থ বরাদ্দ করেছে , তিনি তার ভূয়সী প্রশংসা করেন । তিনি বলেন , বিশ বছর আগে পাখোও রাজপথ খুবই সংকীর্ণ ছিল । বৃষ্টি ও তুষার হলে এখানে কাদা কাদা অবস্থা বিরাজ করছিল । রাত হওয়ার সংগে সংগে গোটা পাখোও রাজপথ অন্ধকারে একাকার হয়ে যেতো ।
এখন এ রাজপথে সারিবদ্ধভাবে বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং রাজপথটিকে পাকাপোক্ত করা হয়েছে । এমন প্রশস্ত ও পরিচ্ছন্ন রাস্তায় জীবনযাপন করে সবাই সুখ স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন ।
চীনের অন্তর্ভাগের সি ছুয়ান প্রদেশের ব্যবসায়ীরা তিব্বত ও দেশের অন্তর্ভাগের হাজার বছরের অবিরাম যোগাযোগ দেখতে পেয়েছেন । তিব্বতী জনগণের কাছে হাতা হচ্ছে বিশুদ্ধতা ও কল্যাণের প্রতীক । সাধারণত রেশম দিয়ে হাতা তৈরি হয়ে থাকে । তবে তিব্বতে রেশম নেই বলে দেশের অন্তর্ভাগ থেকে আনতে হয় ।
1 2 |