১০ জুন চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসার প্রাচীনতম রাজপথ পাখোও রাজপথ প্রথম দফায় চীনের দশটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক রাজপথ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে । সম্প্রতি লাসায় অনুষ্ঠিত একমাসব্যাপী সাগাদাওয়া ধর্মীয় তত্পরতার সময় আরো বেশি তীর্থযাত্রী ও পর্যটক পাখোও রাজপথে এসেছিলেন ।
তিব্বতের তাচাও মন্দির থাকার জন্যেই পাখোও রাজপথের সৃষ্টি ও উন্নতি হয়েছে । এখন এ রাজপথ সমাজ , সংস্কৃতি , ধর্ম ও বাণিজ্যের সমন্বয়ে একটি প্রাচীন রাজপথে পরিণত হয়েছে । তার ইতিহাস ১ হাজার ৩ শ'রও বেশি বছর পুরনো । এখানে ধর্ম ও দুনিয়া , ঐতিহ্য ও ফ্যাশন এবং মানসিকতা ও বিষয়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ সমন্বয় ঘটেছে ।
পাখোও রাজপথ চীনের দশটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক রাজপথ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সুনাম অর্জন করেছে । লাসার পুরাকীর্তি ব্যুরোর মহাপরিচালক চাং হুইয়ের চোখে এটি নিসংন্দেহে হাজার বছরের এ রাজপথকে বিশ্বের কাছে আরো পরিচিত করে তুলবে ।
সংশ্লিষ্ট তথ্য থেকে জানা গেছে , সপ্তম শতাব্দিতে তাচাও মন্দির নির্মিত হয় । এ মন্দিরে এখন ১২ বছর বয়সী শাক্যমুনির মর্তি সংরক্ষিত রয়েছে । তত্কালীন তিব্বতী রাজা সুংজাম্গাবো থাং রাজবংশের রাজকুমারী ওয়েন ছেংকে বিয়ে করার সময় ওয়েন ছেং শাক্যমুনির এ মুর্তিকে সংগে নিয়ে এসেছিলেন । তাচাও মন্দির নির্মাণের পর অসংখ্য তীর্থযাত্রী এখানে আসেন । তখন থেকে তাচাও মন্দিরের আশেপাশে ছোট পথের সৃষ্টি হয় । এটি ছিল প্রাথমিক পর্যায়ের পাখোও পথ । আস্তে আস্তে এ ছোট পথ সম্প্রসিত হয়ে বিশাল একটি তিব্বতী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পাড়ায় পরিণত হয়েছে ।
চাং হুই বলেন , সমৃদ্ধ ইতিহাস ও অফুরন্ত প্রাণশক্তির কারণে পাখোও রাজপথ সারা দেশের দু' শ'রও বেশি আবেদনকারী রাজপথের মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছে ।
সংশ্লিষ্ট তথ্য থেকে জানা গেছে , পাখোও রাজপথে এখন দু' হাজারেরও বেশি পরিবারের ৬ হাজারেরও বেশি অধিবাসী রয়েছে । প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা এ রাজপথের দু' পাশে বসানো রয়েছে নানা ধরণের দেড় হাজার দোকানপাট । এগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ও ৫৬টি প্রাচীন স্থাপত্য । এগুলোই হলো তিব্বতের সামাজিক বিকাশের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র ।
1 2 |