অতিথিরা সবাই এলে তাদের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ যিনি তাঁকে মদের ঘড়ার সামনে বসতে অনুরোধ করা হয় । তিনি ধর্মসূত্র পাঠ করতে করতে আঙ্গুল দিয়ে কিছু মদ চার দিকে ছিটান । তার পর অতিথিরা বয়সের ক্রমানুসারে মদের ঘড়ার সামনে এসে মদ পান করেন ।
কর্তা ধীরে ধীরে মদের ঘড়ার ভেতরে যে এক বাটি সিদ্ধ পানি ঢেলে দেয় তা গাঁজানো মদের ভিতর দিয়ে ঘড়ার তলদেশে গিয়ে মদ হয়ে যায় ।বাঁশের নল ঘড়ার তলদেশে ঢুকালে অতিথিরা শুধু মদ পান করতে পারে । উচ্ছিষ্ট মদ উপরী ভাগে ভেসে থাকে এবং তা বাঁশের নলে প্রবেশের সম্ভাবনা নেই।
মদ পান করতে হয় পালাক্রমিকভাবে । সবশেষে দু তিন বছর বয়সের শিশুদেরও এক চুমুক মদ পানের সুযোগ মিলে । মদ বিস্বাদ না লাগা পর্যন্ত মদ পান চলতে থাকবে । মদ বিস্বাদ হলে আরেক ঘড়া মদ এনে নেয়া হয় । মদপানকারীদের সংখ্যা তিরিশ থেকে পঞ্চাশ হতে পারে , একশো হলেও কর্তার আপত্তি নেই ।
যারা মদ পান করেছে বা মদ পানের জন্য অপেক্ষা করছে তারা অগ্নিকুণ্ড ঘিরে নাচতে থাকে । ক্লান্ত হলে বা পিপাসা লাগলে আবার মদ পান করতে বসে । মদ পান করে ক্লান্তি ঘুচলে আবার নাচতে শুরু করে । এভাবে মদ পান চলতে থাকে দু 'তিন দিন ধরে ।
সমাজের বিকাশের সংগে সংগে স্বাস্থ্যরক্ষার তাগিদে হেজাজিউ নামক মদ পানের রেওয়াজ এখন বিলুপ্ত হয়েছে । কিন্তু মদ পান ও নাচগানের ঘনিষ্ঠ সংযোগে সৃষ্ট তিব্বতের মদ বিষয়ক সংস্কৃতি চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে । 1 2 |