তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসার তাচি জেলার তাচিয়ে মহকুমার পাগাসুয়ে গ্রামের লাবা লাসায় প্রথম ব্যক্তি হয়েছেন , যিনি বায়ো গ্যাস ব্যবহার করেন । সরকার ৩ হাজার ইউয়ান ব্যয় করে তার জন্যে বায়ো গ্যাসের আধার ও শাকসব্জির প্লাস্টিকের চাঁদোয়া নির্মাণ করে । এর সুবাদে প্রতি বছর তার জন্যে জ্বালানী বাবদ ১ হাজার ইউয়ান বাঁচানো হয়েছে । সরকারের নির্মিত প্লাস্টিকের চাঁদোয়া থেকে লাবা প্রতি বছর ৪০০ ইউয়ান উপার্জন করতে পারেন । ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিব্বতের ৫টি বিভাগের ৩৩টি জেলায় ৪৩ হাজার পরিচারের জন্যে বায়ো গ্যাসের ব্যাস্থা চালু হয়েছে । ফলে ২ লাখ ১০ হাজার লোক নিরাপদ ও উচ্চ ফলনশীল জ্বালানি ব্যবহার করতে পারছেন ।
পাশাপাশি তিব্বতের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কৃষকদের জন্যে ৮ লাখ ৬০ হাজার বর্গমিটার শাকসব্জির প্লাস্টিকের চাঁদোয়া নির্মাণ করেছে । এ ব্যবস্থার কল্যাণে বছরে ৩৪ লাখ কিলোগ্রাম শাকসব্জি উত্পাদন সম্ভব হয়েছে । এ খাত থেকে কৃষকরা ৫ কোটি ৪৪ লাখ ইউয়ান উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছেন ।
কয়েক বছর আগে শুরু হওয়া তিব্বতের ইয়ালুজাম্বু নদী , লাসা নদী ও নিয়ান ছু নদীর অববাহিকার কৃষির বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পে এখন প্রাকৃতিক ফলপ্রসূতা পাওয়া গেছে । এক জরীপ থেকে জানা গেছে , ৩০ বছর আগের তুলনায় তিব্বতের ই খা চে এলাকার ঝড়-তুফানের আবহাওয়ার দিন ৩৪ দিন কমেছে এবং লাসা ও চে তাং এলাকায় এ রকম আবহাওয়ার দিন ২২ দিন কমেছে ।
গত কয়েক বছরে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পশুপালকদের আবাসিক প্রকল্পও হাতে নিয়েছে । এ প্রকল্পের কল্যাণে এখন পশুপালকরা একত্রে চাষবাস করেন এবং একত্রে বসবাস করেন । ফলে তিব্বতের প্রাকৃতিক পরিবেশ কার্যকরভাবে সংরক্ষণ এবং পশুপালকদের উত্পাদন ও জীবনযাপনের মানোন্নয়ন সম্ভব হয়েছে । 1 2 |