তিব্বতে যাওয়ার পর গত ৩৩ বছরে লি সু চি সত্যি সত্যিই জনগণের জন্যে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন । তিনি ৪৩২টি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ পরিচালনা করেন । এর মধ্যে ১৬টি নুতন প্রযুক্তি বিশ্বের চিকিত্সা বিদ্যার ক্ষেত্রে তিনি বিস্ময় সৃষ্টি করেন , ৩২টি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তিনি প্রথম উদ্ভান করেন এবং ৩৪টি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তিনি তিব্বতের মালভূমি চিকিত্সা বিদ্যার শূণ্যতা পূরণ করেন । গত ৩৩ বছরের মধ্যে লি সু চি ২০টি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত পুরস্কার লাভ করেছেন এবং মালভূমির চিকিত্সা বিদ্যার ক্ষেত্রে দু' শতাধিক থিসেস প্রকাশ করেছেন ।
আজ লি সু চি একজন জেনারেল হয়েছেন । তিনি একাধারে চীনা গণ মুক্তি ফৌজের তিব্বতী সামরিক এলাকার ডেপুটি কমান্ডার ও সাধারণ হাসপাতালের পরিচালকের পদে বহাল রয়েছেন । তিব্বতের জনসাধারণ সস্নেহে তাকে মালভূমির একজন সুদক্ষ চিকিত্সক বলে অভিহিত করে ।
১৯৯৬ সাল থেকে লি সু চি চীনা গণ মুক্তি ফৌজের তিব্বতী সামরিক এলাকার সাধারণ হাসপাতালের পরিচালকের পদে নিযুক্ত হওয়ার পর সবসময় চিকিত্সা দলকে সংগে নিয়ে মালভূমির বিভিন্ন সেনাশিবিরে এবং কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যে যান এবং সৈনিক এবং কৃষক ও পশুপালকদের চিকিত্সা করেন । ৩৩ বছরের মধ্যে তিনি প্রায় ৪ লাখ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছন , ২ লাখ ১০ হাজার লোকের চিকিত্সা করেছেন এবং ৯ হাজারেরও বেশি অস্ত্রোপচার করেছেন ।
২০০৬ সালের মে মাসে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হু চিন থাও একটি আদেশ স্বাক্ষর করে লি সি চিকে প্রথম শ্রেণীর পুরস্কারে ভূষিত করেন । 1 2 |