গণতান্ত্রিক সংস্কারের পর গেসাং প্রথমবারের মত দেশের বাড়ি ত্যাগ করে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসায় আসেন এবং পোতালা প্রাসাদ দেখতে পান । পরবর্তীকালে তিনি আবার প্রথমবারের মালভূমি থেকে নেমে অন্তর্ভাগের শেন সি প্রদেশে পড়তে আসেন ।
১৯৬০ সালের জুন বা জুলাই মাসে গণতান্ত্রিক সংস্কার সংক্রান্ত গ্রুপের একজন চাচা আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে , আমি অন্তর্ভাগে গিয়ে লেখাপড়া করতে চাই কি না । উত্তরে আমি বলি , আমি চাই । সে বছরেই আমি রিখাচে থেকে লাসায় আসি । তারপর চীনা গণ মুক্তি ফৌজের ট্রাকে করে লাসা থেকে ছিং হাই প্রদেশের রাজধানী সি নিংয়ে আসি এবং আবার সি নিং থেকে ট্রেনে করে হু পেই প্রদেশের সিয়ান নিংয়ে আসি ।
গেসাং তিন বছর ধরে সিয়ান নিং জাতীয় ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করেন । এরপর তিনি স্বেচ্ছায় দেশের বাড়িতে ফিরে একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হন । তখন আমি ভাবতাম , অতীতে কৃতদাসদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতো । গণতান্ত্রিক সংস্কারের পর আমাদের শিক্ষা নেয়ার সুযোগ ঘটেছে । মুক্তিপ্রাপ্ত ভূমিদাসদের নতুন প্রজন্ম হিসেবে আমি চাই আরো বেশি সংখ্যক লোককে শিক্ষিত করে তুলতে । তাই আমি শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি ।
১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত গেসাং তিব্বতের পাইলাং জেলার প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন ।
১৯৮৩ সালের শেষ দিকে গেসাং রিখাচের প্রথম জাতীয় হস্তশিল্প কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন । আজ তার প্রতিষ্ঠিত ইয়ামে কোম্পানির বার্ষিক উত্পাদন মূল্য ৩ কোটি ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে । তাদের প্রধান পণ্য হচ্ছে গালিচা , জাতীয় পোষাক , জাতীয় আসবাবপত্র , সোনা , রুপা ও তামার পণ্য ও থাং খা নামে চিত্র । তাদের পণ্য অন্যান্য দেশে রফতানি হয় । 1 2 |