সে সময় ব্যাপক মেহনতী জনগণ অসুস্থ হলেও চিকিত্সার সুযোগ পেতো না। তিব্বতী ওষুধ শিল্প বলতে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের আগে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে মাত্র একটি তিব্বতী ওষুধ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান ছিল। তখন এর উত্পাদনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৫.৭ টন এবং তিব্বতী ওষুধ প্রস্তুতকারী কারিগরদের সংখ্যা ছিল ৫০ জলেরও কম। তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির পর কেন্দ্রীয় সরকার ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সরকার তিব্বতী চিকিত্সা ও ওষুধ শিল্পের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। ধাপে ধাপে তিব্বতী চিকিত্সা ও ওষুধ প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও সুসংহত করা হয়। বিপুল প্রয়াসের সঙ্গে তিব্বতী চিকিত্সা কর্মী ও ওষুধ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তিব্বতী ওষুধের ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজও জোরদার করা হয়। কয়েক দশক আগে প্রতিষ্ঠিত তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তিব্বতী চিকিত্সা পদ্ধতির হাসপাতাল এখন সারা দেশে তথা সারা বিশ্বেও চিকিত্সা , শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও তিব্বতী ওষুধ উত্পাদনের সমন্বয়ে সর্বশাখাবিশিষ্ট একটি প্রথম শ্রেণীর হাসপাতালে পরিণত হয়েছে।
একই সঙ্গে গত শতাব্দীর ৮০ দশক থেকে তিব্বতের বিভিন্ন স্থানেও নান স্তরের তিব্বতী চিকিত্সা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৮০ দশকের শেষ দিক থেকে ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তিব্বতে জেলা পর্যায়ের তিব্বতী চিকিত্সা হাসপাতালও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত কয়েক দশকে চীন সরকার তিব্বতী চিকিত্সা ও ওষুধ শিল্প খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে চলেছে।
তিব্বতী চিকিত্সা ও ওষুধ শিল্পের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অবকাঠামোগত গঠনকাজ ও সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিবিদদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে সরকার পর পরই এক কোটিরও বেশি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে। তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তির আগে তিব্বতে কোনো বিশেষ তিব্বতী চিকিত্সা সংক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। ১৯৮৯ সালে তিব্বতে প্রথম তিব্বতী চিকিত্সা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ থেকে প্রমাণিত যে, তিব্বতে হাসপাতাল না থাকার ইতিহাস পুরোপুরিভাবে শেষ হয়েছে। 1 2 |