চীনা গণ মুক্তি ফৌজের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর তিব্বতী টিমের হাসপাতালের কর্মকর্তা ও সৈনিকরা গত কয়েক দশক ধরে তিব্বতের বিভিন্ন জাতির জনসাধারণকে নিজেদের বাবামা বলে মনে করে আন্তরিকতার সংগে রুগীদের সেবা করে আসছেন এবং তাদের স্নেহ-মমতাকে তিব্বতীদের পরিবারে পরিবারে পৌঁছে দিয়েছেন ।
তারা পর পর জাতীয় জাতীয় সংহতি ও অগ্রগতির আদর্শ ইউনিট এবং জাতীয় যুব সংহতি আদর্শ ইউনিটের সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ।
গত ১৬ মার্চ দুজন জনতা বেহুশ হয়ে যাওয়া একজন তিব্বতী বৃদ্ধকে সংগে নিয়ে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর তিব্বতী টিমের হাসপাতালের জরুরী চিকিত্সা বিভাগে আসলেন ।
কর্তব্যরত এ হাসপাতালের চিকিত্সা বিভাগের পরিচালক চিন ফোং দ্রুত চিকিত্সক ও নার্সদের সংগঠিত করে এ বৃদ্ধার ওপর নানা ধরণের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন । প্রাথমিক পরীক্ষার পর দেখা গেছে , তিনি গুরুতর লিভার সিরোসিস ও হৃত্পন্ডের অবনতিতে আক্রান্ত হয়েছেন । হাসপাতালে থেকে তার জরুরী চিকিত্সা নেয়া দরকার ছিল ।
এ তিব্বতী বৃদ্ধার নাম সোওলাংচিয়ানছাই । তার বয়স ৭০ বছর । কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অর্থ তার ছিল না । এ হাসপাতালের পরিচালক চাং ইয়াও ছাং বলেন , আমাদের হাসপাতাল জনসেবায় নিয়োজিত একটি হাসপাতাল । হাসপাতালটি বিনাদ্বিধায় সোওলাংচিয়ানছাইকে হাসপাতালে ভর্তি করল এবং বিশেষ পরিচর্যার জন্যে একজন নার্সকে পাঠায় ।
সোওলাংচিয়ানছাইয়ের অবস্থার কিছু উন্নতি হওয়ার পর হাসপাতাল আবার তাকে বিনা পয়সায় চিকিত্সা নেয়ার একটি বিশেষ কার্ড প্রদান করে । পাশাপাশি তাকে সাহায্য করার জন্যে সমগ্র হাসপাতালের কর্মকর্তা ও সৈনিকরা স্বেচ্ছায় চাঁদা তুলে তাকে দশ হাজার ইউয়ান দিয়ে দেন । সোওলাংচিয়ানছাই হাতে টাকা ও বিশেষ কার্ড নিয়ে অত্যন্ত অভিভূত হয়ে পড়েন ।
1 2 |