তোওচিতুনচু বলেন , পর্যটকরা নিজেদের চোখে তাদের কোম্পনিতে তিব্বতী ধুপ তৈরির গোটা প্রক্রিয়া দেখতে পারেন । এতে করে তারা একদিকে তিব্বতী ধুপের ইতিহাস জানতে পারেন , অন্যদিকে তিব্বতী ধুপের ওপর তাদের আস্থাও বাড়তে পারে । সুতরাং তাদের কোম্পানির তিব্বতী ধুপ সবসময় ভালো করে বিক্রি হয়ে যায় । গত কয়েক বছরে তিব্বতী ধুপ হংকং , ম্যাকাও ও তাইওয়ানে রফতানি হয় ।
তাং কা বলেন , পাইকারিভাবে থাং কা তৈরির জন্যে লামুলাচো থাং কা শিল্প কেন্দ্র তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং সু ছুয়ান ও ছিং হাই প্রদেশ থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে । সাধারণত দেড় বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীরা থাং কা তৈরির প্রকৌল আয়ত্ত করতে পারে ।
তিং কা আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন , সাধারণত শিক্ষার্থরা দরিদ্র কৃষক ও পশু পালকদের পরিবার থেকে আসে । লেখাপড়ার সময় তাদের কোনো ফি দিতে হয় না । পাশাপাশি তাদের খাওয়া-দাওয়া ও থাকার খরচও মওকুফ করা হয় । স্নাতক হওয়ার পর তাদের প্রকৌশরের মান অনুযায়ী প্রতি মাসে তাদের ১ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার ইউয়ান বেতন দেয়া হয় ।
পর্যটন শিল্প হচ্ছে তিব্বতের একটি মেরুদন্ড স্থানীয় শিল্প । সাস্কৃতিক শিল্প হচ্ছে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি । তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সংস্কৃতিক বিভাগের উপমহাপরিচালক ইয়াং সৌ মিং বলেন , তিব্বতের সাংস্কৃতিক শিল্পের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত রয়েছে । এক অসম্পূর্ণ হিসাব থেকে জানা গেছে , তিব্বতে এখন ২০ হাজার লোক সাংস্কৃতিক শিল্পে নিয়োজিত রয়েছেন এবং ৩ হাজার সাংস্কৃতিক শিল্প রয়েছে । 1 2 |