দালাই চক্র এবং কিছু কিছু পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো দীর্ঘকাল ধরে চীন সরকারের নেয়া তিব্বতে " সাংস্কৃতিক বিলুপ্তির বিষয়টি" ভুল ব্যাখ্যা করে যাচ্ছে। তবে তারা এ ব্যাপারে কোন প্রমাণ দেখাতে পারে নি। এ সম্পর্কে ডোমেনিকো বলেন: " সম্প্রতি আমি দালাইর একটি বই পড়েছি। এ বইয়ের অনেক বিষয়ই বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বই-এ বলা হয়েছে, চীন সরকার তিব্বতে জাতি বিলুপ্তির চেষ্টা করছে। একই দিকে এ বই-এ আরও বলা হয়েছে, চীন সরকার পরিবার পরিকল্পনা কার্যকর করেছে। হান জাতির জন্য প্রত্যেক পরিবার শুধু একজন শিশু পাবে। তবে তিব্বত জাতির জন্য প্রত্যেক পরিবার ২ বা ৩টি শিশু পাবে। আরেকটি কথা, আবারও এ বই-এ বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার তিব্বতে সাংস্কৃতিক বিলুপ্তির বক্তব্য দিয়েছে । এক দিকে এ বই-এ আরও বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরুর পর, তিব্বতের সংস্কৃতি সুষ্ঠুভাবে রক্ষা করতে সক্ষম। সুতরাং, তথাকথিত জাতি ও সাংস্কৃতিক বিলুপ্তির বক্তব্য হচ্ছে দালাই চক্রের সম্পর্ক মিথ্যা কথা।"
ইতালির পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য লুইজি ম্যারিনো তাঁর ভাষণে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো চীন সংশ্লিষ্ট নেতিবাচক রিপোর্ট করার ব্যাপারে এক চোখা মনোবৃত্তি পোষণ করে। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করেছেন, " সাত বছর আগে, আমার সঙ্গে ইতালির বিভিন্ন দলের ৩জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল ইতালি ও চীনের মৈত্রী সমিতির উদ্যোগে তিব্বত পরিদর্শন করেছে। সেখানে আমরা নিজের চোখে দেখতে পেয়েছি যে,আজকের তিব্বত কত সুন্দর হয়েছে। চীন সরকার তিব্বতের উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ছিং হাই রেলপথ চালু ছাড়াও তিব্বত উন্নয়নের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা। এ পরিকল্পনা কেবল যে অর্থনৈতিক ও বস্তুগত ক্ষেত্রে সাহায্য প্রদান করেছে তা নয়, তা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রসহ অবস্তুগত ক্ষেত্রেও অনেক ভূমিকা রেখেছে।
চীনের তিব্বতবিদ প্রতিনিধি দলের সদস্য এবং চীনের তিব্বতবিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক চুমা বৌদ্ধ ধর্মের ওপর গবেষণা করছেন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তিব্বতের ৫০ বছরের ব্যাপক পরিবর্তনের ব্যাখ্যা করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন: " বৌদ্ধ ধর্ম গবেষণার ২০ বছরে, প্রতি বছর আমি তিব্বত অঞ্চলে তদন্ত ও গবেষণার কাজ চালিয়েছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন সরকার বৌদ্ধ ধর্মসহ তিব্বতের সংস্কৃতি রক্ষার লক্ষ্যে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন, পোতালা প্রাসাদসহ প্রচুর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রক্ষা ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে চীন সরকার বিপুল অংকের আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছে। একই সঙ্গে চীন সরকার তিব্বতী অধিবাসীদের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নের ওপর বেশ গুরুত্ব আরোপ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ করে কল্যাণমূলক বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ করেছে। ফলে মন্দিরের পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং ভিক্ষুরা সত্যিকারভাবে কল্যাণ অর্জন করেছেন"।--ওয়াং হাইমান 1 2 |