v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
ইতালির সুধী মহলের কাছে একটি বাস্তব তিব্বতকে পরিচয় দেয়ার লক্ষ্যে চীন ও ইতালি তিব্বতবিদদের পারস্পরিক মত বিনিময়
2009-04-20 20:51:17

 

শ্রোতাবন্ধুরা, ইতালি সফররত চীনের তিব্বতবিদ প্রতিনিধি দল ইতালির পন্ডিত ও সূধীজনের সঙ্গে পারস্পরিকভাবে তিব্বতবিদ্যা ক্ষেত্রের গবেষণামূলক ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের অনুভূতি ব্যাখ্যা করেছে। পরে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইতালির সংবাদমাধ্যকে তিব্বতের ইতিহাস এবং তিব্বতের গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরুর পর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতি ও সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

চীনের তিব্বতবিদ প্রতিনিধি দলের ইতালির পন্ডিত ও সুধীবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এবারের আলোচনার প্রধান প্রতিপাদ্য ছিল " নতুন শতাব্দীর তিব্বতঃ ঐতিহ্য ও উন্নয়ন"। এ আলোনচার প্রক্রিয়ায় প্রতিনিধি দলের বেশ কয়েকজন সদস্য পর্যায়ক্রমে তিব্বত সমস্যা সম্পর্কে তাদের সর্বশেষ গবেষণামূলক ফলাফল ও এ সংশ্লিষ্ট দৃষ্টিভংগী ব্যাখ্যা করেছেন।

তিব্বতবিদ প্রতিনিধি দলের নেতা চাং ইয়ুন প্রাথমিকভাবে গত " ১৪.মার্চের" ঘটনার বাস্তব চিত্র এবং তিব্বত সমস্যা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক কারণ তুলে ধরেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিব্বতের অগ্রগতি মানবাধিকারের সম্মান ও রক্ষার ফসল । এ সম্পর্কে তিনি বলেন: " তিব্বতে মানবাধিকারের অব্যাহত উন্নয়ন, যা তিব্বতের প্রযুক্তিবিদদের আরো দক্ষ হয়ে উঠার মধ্য দিয়েই প্রতিফলিত হচ্ছে। মানবাধিকার, শিক্ষা এবং সংখ্যালঘু জাতির উন্নয়নের মূল বিষয়ই হচ্ছে জাতিগত সবাইকে তেজীয়ান করে তোলা । বিগত বছরগুলোয় তিব্বত প্রচুর ক্যাডার ও প্রযুক্তিবিদকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য, তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সকল চেয়ারম্যান হচ্ছেন তিব্বতের স্থানীয় অধিবাসী। তিব্বতের বিভিন্ন পর্যায়ের ক্যাডারদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ হচ্ছেন তিব্বতী অধিবাসী। তিব্বতে বিশাল অংকের আর্থিক সাহায্য প্রদান ছাড়াও, চীন সরকার আরও বিশেষভাবে তিব্বতী ভাষা ও ঔষধ ব্যবহারের আইন -বিধি নির্ধারণ করেছে।"

আলোচনাকালে ইতালির পন্ডিতগণ পৃথক পৃথকভাবে জানিয়েছেন যে, তিব্বত সমস্যা সম্পর্কে ইতালির সংবাদমাধ্যম ভুল বক্তব্য দিয়েছে। যা উপেক্ষা করা যায় না। নাপোলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জর্জি মানটিকি হচ্ছেন ইতালির একজন বিখ্যাত তিব্বতবিদ এবং ইতিহাসবিদ। ইতালির কিছু কিছু রিপোর্টের ব্যাপারে তিনি জানতে বেশ সক্ষম। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে পরিবেশিত চীনের তিব্বত সমস্যা সংক্রান্ত ভুল রিপোর্টের ওপর উদাহরণ দিয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন: " ইতালিতে চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মত এমন তিনটি অঞ্চল রয়েছে। সেখানে ইতালির ভাষা ছাড়াও ফরাসী, জার্মানী এবং ল্যাতিন ভাষাও আছে। এ তিনটি অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল--আত্ষ্টা অঞ্চলে ইতালির বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্বেও কেউ ইতালির বাহিনীর এ অঞ্চল দখলের কথা বলছে না। তবে তারা চীনের গণ মুক্তি ফৌজের তিব্বতে মোতায়েনকে দখল করার কথা বলে ভুল বক্তব্য দিয়েছে। এটি অগ্রহণযোগ্য, যা চীনা জনগণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের সংবিধান দেশ রক্ষার দায়িত্ব চীনা গণ মুক্তি ফৌজকে প্রদান করেছে। সুতরাং, চীনা গণ মুক্তি ফৌজ তিব্বতে মোতায়েন করা হচ্ছে একটি যৌক্তিক ব্যাপার।"

ডোমেনিকো লুসার্দো হচ্ছেন ইতালির তিব্বত সমস্যা গবেষণা ক্ষেত্রের একজন বিখ্যাত তিব্বতবিদ। তিনি মনে করেন, পশ্চিমা দেশগুলোর কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম চীনের প্রতি অবিচার করেছে। তিব্বত সমস্যা সংক্রান্ত রিপোর্টে বাস্তবতা মেনে না চলা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন: " পশ্চিমা দেশগুলোর সংবাদমাধ্যম ১৯৫৯ সালে তিব্বতের গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরুর আগের অবস্থাকে ঢেকে রেখে বর্তমানকে কল্পনায় সাজিয়ে সুন্দর করে ব্যাখা করেছে। তবে একজন ইতিহাসবিদ হিসেবে আমি খুবই স্পষ্টভাবে জানতে সক্ষম যে, সেসময় তিব্বতে কৃতদাস ব্যবস্থা চালু ছিল। লোকসংখ্যার অধিকাংশই ছিল কৃতদাস। সেসময় তিব্বতে কোন মানবাধিকার ছিল না। এ থেকে বুঝা যায় যে, তিব্বতের গণতান্ত্রিক সংস্কার হচ্ছে তিব্বতে মানবাধিকারের একটি সফল অর্জন।"

1 2
  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China