হস্ত শিল্পের উন্নয়ন তিব্বতের পর্যটন শিল্পের তেজীয়ান হয়ে উঠার সঙ্গে সম্পর্কিত। ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হওয়ার পর, তিব্বতের পর্যটন শিল্পের খুব দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। এর ফলে বার্ষিক পর্যটকদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ এবং পর্যটনের আয় হয়েছে ৩ বিলিয়ন ইউয়ান। পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তিগত হোটেলগুলোও দ্রুতভাবে আরো বেশি কার্যকর হয়ে উঠেছে। " তান চেং হোটেল" হচ্ছে এ সব হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। ১৯৮৬ সালে " তান চেং হোটেল" চালু হয়। যা তিব্বতের রি কা জে অঞ্চলে অবস্থিত। এ হোটেলের মালিক সোদ্রোন আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন:
" সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের শুরুর দিকে আমার বয়স খুবই কম ছিল। সে সময় আমি বুঝতে পারছিলাম না যে, আমার বাবা কেন হোটেল খুলতে চান? তখন বাবা একজন ব্যবসায়ী। তিনি নেপালের সঙ্গে বেশ কিছু বাণিজ্যিক আদান প্রদানের কাজ করছেন।"
তিব্বতে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৯২ সালে " তান চেং হোটেল" পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। এর আওতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মোট ৩ লাখ ইউয়ান ব্যয় করা হয়। এখন " তান চেং হোটেল" তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে পর্যটন ব্যুরোর নিয়মিত একটি বেসরকারী হোটেলে পরিণত হয়েছে।
তিব্বতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তিব্বতের জনগণের জীবন-যাত্রার মান ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে। স্থানীয় কৃষক ও পশুপালকদের বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ইউয়ান। অধিবাসীদের গড় আয়ূ গত শতাব্দীর ৫০ দশকের ৩৫.৫ বছর থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ বছরে। তিব্বতের সামাজিক গবেষণা একাডেমীর গবেষক কালজাং ইয়েশে বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার হচ্ছে তিব্বতের ব্যাপক পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরু হওয়ার ৫০ বছর, এতো মাত্র অর্ধ শতাব্দী সময়। আর এ সময়েই তিব্বতে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার না হলে আজকের তিব্বতের এতো সমৃদ্ধি হতো না বলে সবাই মনে করছে।"
১৯৫৯ সালের ২৮ মার্চ থেকে গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরু হওয়ার ৫০ বছরে তিব্বত পর্যায়ক্রমে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করে আসছে। ২০০৯ সালের ২৮ মার্চ দিনটি নতুন শুভসূচনা হিসেবে তিব্বতের ভবিষ্যতকে আরও সুন্দর করে তুলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।--ওয়াং হাইমান 1 2 |