ফটোটিতে দেখানো হয়েছে , খা পা জাতির বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি সুন্দর বাড়ির সামনে খা পা জাতির একজন লোক প্রাণ খুলে হাসছেন । সিয়াও হুং আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন ,
সরকার আমাদের জন্যে এসব বাড়ি নির্মাণ করেছে । আমাদের মহকুমার ১০১টি পরিবারের মধ্যে ৮০ শতাংশ লোক নতুন বাড়িতে উঠেছেন । অনেকের বাসায় টেলিফোনও বসানো হয়েছে । বহু তরুণ-তরুণী মোবাইল ফোনও ব্যবহার করছে । নিজের দেশের বাড়ির কথা উঠলে লাজ্জুক সিয়াও অনর্গল কথা বলতে শুরু করেন । তিনি বলেন , গত বছর আমাদের মহকুমায় মাথাপিছু আয় ছিল ৩ হাজার ১ শ'রও বেশি ইউয়ান । অতীতের তুলনায় আমাদের জীবনের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে ।
খাওয়া-পরার সমস্যা সমাধানের পর খা পা জাতির লোকেরা শিক্ষার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন । এ পর্যন্ত এ মহকুমা থেকে ১৪জন ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছে । বর্তমানে সরকারের সহায়তায় আমাদের মহকুমার অনেক লোক পর্যটন , অর্থকরী ফসল ও ভেষজ ওষুধ শিল্প উন্নয়নের জন্যে চেষ্টা করে যাচ্ছেন ।
বস্তুত সিয়াও হুং নিজের দেশের বাড়ি নান ই মহকুমার বিরাট পরিবর্তনের জন্যে অবদান রেখেছেন । ৬ বছর আগে তিনি প্রথমবারের মত জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দশম জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে যোগ দেন । দেশের প্রধান প্রধান নেতার সংগে মহা গণ ভবনে বসে তিনি যে রাষ্ট্রীয় ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করছিলেন , সেই স্মৃতি তার কাছে ভুলবার নয় ।
সিয়াও হুং হচ্ছেন খা পা জাতির তিন হাজার লোকের একমাত্র প্রতিনিধি । সেই অধিবেশনে সিয়াও হুং সড়ক , বিদ্যুত , বাড়ি ও টেলিযোগাযোগসহ নান ই মহকুমার বুনিয়াদি ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন । এখন সেসব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে ।
চীনের সবচেয়ে ছোট সংখ্যালঘু জাতির প্রতিনিধি হিসেবে তার প্রস্তাবের ওপর অনুরূপভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে তিনি নিজের প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করতে বদ্ধপরিকর । 1 2 3 |